সারাদেশে পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি কাজ করছে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরাও। এরপরও মানুষ বেরিয়ে আসছে রাস্তায়।
গত ২৬ মার্চ বন্ধ পেয়ে মানুষ গ্রামের পানে ছুটলে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বেড়ে গেছে জনসমাগম। সেখানের খবর তেমন মিলছে না। আবার গার্মেন্টস খোলার খবর শুনে শ্রমিকরা ঢাকায় ফিরেছে ঝাঁক বেঁধে। গাদাগাদি করে। এতে সরকারের ছুটি ঘোষণার ফল একেবারেই গোল্লায় গেছে। এসব বক্তব্যই ওঠে আসছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় দুধরনের মানুষ বেশি নামছে। নেহাত বেকার শ্রমিক নয়তো, উৎসুক জনতা। উৎসুকরা বের হচ্ছেন পণ্য খরিদের ছুঁতোয়।
বেকার শ্রমিকদের আলোচনা বলতে বিড়ি সিগারেট ফোঁকার সঙ্গে আড্ডা দেওয়া। আর উৎসুকরা উদ্ধার করছে আমেরিকা, ইতালি। নয়তো কোনো এলাকায় কত শনাক্ত হলো, পরিস্থিতি কেমন হবে-তা নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন।
কাজীপাড়ায় পান কিনতে বের হওয়া এক মধ্য বয়স্ক শ্রমিক কামাল উদ্দীনের সঙ্গে কথা হলো। বললেন-ভাইরে কত আর বাসায় থাহন যায়। তাই এট্টু খোঁজ খবর নিতে বারাইছি। মাইনশের লগে কতা না কইতে পারলে ফাফর লাগে তো।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবশ্য এদের দেখা পেলে বাসামুখী করে দিচ্ছে। অনেককে জরিমানাও করছে।
অন্যদিকে অনলাইনে বিচরণকারী স্বচ্ছলরা নানা সমালোচনায় মুখর। ফেসবুক সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে শো-অফ করছে সবাই। কেউবা সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত। কেউবা ব্যবসায়ীদের। অনেকে আবার নানা রকম তথ্য শেয়ার করছেন। কেউ দিচ্ছেন মুভির রিভিউ।
দিন দিন বাড়ছে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। সেটা নিয়েই হয়তো কেউ পোস্ট করেছেন। আর তাতেই সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, কোথায় সরকারে কোন ভুল ছিল, সে আলোচনায়।
অনেকে আবার খাবারের রেসিপি দিচ্ছেন। গান গেয়ে তার ভিডিও আপলোড করছেন। এসবে আবার ভালো সাড়াও পড়ছে।
পেটুক কাপল, রাফসানের রেসিপির ভিডিও দেখে অনেকেই মজা নিচ্ছেন।
বাদ যাচ্ছেন না শিক্ষকরাও। তারা অনলাইনে নিজের লেকচার দিয়ে তা ছাত্রদের ফলো করতে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
সব মিলিয়ে এই সীমিত জীবনাচরণ এখন দু’ভাগেই ভাগ হয়ে গেছে। কেউ অনলাইনে, কেউবা অফলাইনে।
সরকারের আইইডিসিআর সর্বশেষ যে তথ্য দিয়েছে, তাতে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৫ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তে সংখ্যা ১২৩ জন। এদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২০
ইইউডি/এইচএডি/