ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির ধারা বইতে থাকে প্রকৃতিতে। সকাল নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।
ঘুমপ্রিয় মানুষের জন্য বৃষ্টির এই সকাল বেশ ঘুমকাতুরে হলেও বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। জমিতে কাজ করা, ভ্যান-রিকশা চালকদের দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে সকালের শুরু হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকটাই থমকে যাওয়া সময়ে আসা ঈদ মানুষের একটা অংশকে নিয়মের বেড়াজালে খুব একটা আটকে রাখতে পেরেছে বলে দেখা যায়নি মাদারীপুরে।
ঈদের দিন বিকেল থেকে শুরু করে দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত দল বেঁধে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে শত শত মানুষকে। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বালাই ছিল না।
মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানের নদ-নদীর পাড়, বাজার, খোলা প্রান্তর, মহাসড়ক, পদ্মাসেতু এলাকাসহ নানা জায়গায় ঈদের অবকাশ যাপন করতে দেখা গেছে। অনেককে আবার ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে দল বেঁধে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে।
তবে ঈদের তৃতীয় দিনের বৃষ্টিভেজা সকাল মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করছে।
তানজিল আহমেদ নামে এক যুবক বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভাঙে। প্ল্যান ছিল সকালের নাস্তা সেরে বাইক নিয়ে ঘুরতে বের হব। বৃষ্টির কারণে এখন ঘরেই থাকতে হচ্ছে।
আজিজুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, সকালের বৃষ্টি বেশ ভালোই লাগছে। এমনিতেই গরম ছিল প্রচণ্ড। বৃষ্টি ঠাণ্ডা করে দিয়েছে। প্রকৃতিতে বেশ সতেজ চিত্র এসেছে বৃষ্টির স্পর্শে।
তবে ভ্যান চালক হেমায়েত মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, রাতভর চার্জ দিয়েছি গাড়ি। সারাদিন চালাতে হবে বলে। ঈদের কয়েকদিন যাত্রী বেশি পাওয়া যায়। অনেকে আবার দুই থেকে তিন ঘণ্টার জন্য ভাড়া নিয়ে ঘুরেন। কিছু বাড়তি টাকা-পয়সা কামানো যায়। কিন্তু এখন বৃষ্টির কারণে বের হতে পারছি না।
স্থানীয় বাজারের দোকানদার সোহাগ হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই বাতাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃষ্টি। সকালের বাজারটা মিললো না। লোকজন বৃষ্টির মধ্যে বাজারে আসেনি।
বৃষ্টি প্রকৃতিকে দেয় এক অপরূপ সৌন্দর্য। গাছে গাছে ফেরে সজীবতা। শুকনো মাটি যেন ফিরে পায় জীবনের স্পন্দন। প্রকৃতিতে কদম ফুটতে শুরু করেছে। বৃষ্টিতে ভেসে আসে কদমের ঘ্রাণ।
বৃষ্টিভেজা এ সকাল যেন নতুনের বারতা নিয়ে হাজির হয়েছে। ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে দিয়ে যাক মহামারি করোনা ভাইরাস, যেন এমন প্রত্যাশা মনে ধরে রেখেছেন অনেকেই!
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
টিএ