শিশুরা স্বপ্ন দেখবে। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে।
কিন স্কুল মূলত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’-এর একটি শাখা। ‘কিন’-এর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শাবিতে কিন স্কুল কাজ করছে। এই কিন স্কুলের হয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিশুদের মাঝে বিলিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার আলো।
যেভাবে যাত্রা শুরু
২০০৪ সালের ২৬ই মার্চ মাত্র ৪০ জন পথশিশু নিয়ে পদযাত্রা শুরু করে কিন স্কুল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের গ্রামগুলোতে বেড়ে ওঠা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত শিশুরাই কিন স্কুলের শিক্ষার্থী। বিশেষ করে যারা ক্যান্টিন, টং দোকান, ওর্য়াকশপ, রিকশা চালানো, খোয়াভাঙ্গা, ভিক্ষাবৃত্তি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদেরই শিক্ষার পথে নিয়ে আসার কাজ শুরু করে কিন স্কুল।
শিক্ষার্থী ও কাঠামো
বর্তমানে ১৫০ জন নিয়মিত এবং ১০০ জন অনিয়মিত সহ মোট ২৫০ শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করছে। পাঁচ জন শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের নেতৃত্বে কিন পরিবারের সাধারন সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য প্রায় ৩০ জন শিক্ষকের ভূমিকায় কাজ করেন। অস্থায়ীভাবে স্কুলের র্কাযক্রম চলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে।
শিশুদের জন্যে
কলম, পেন্সিল, বই, খাতা সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ, প্রতি বছরে ২-৩ বার স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া, প্রতি বছরে ২ বার পোশাক দেওয়া এবং শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করে থাকে কিন স্কুল।
শিশুদের বিনোদনের জন্য প্রত্যেক বৃহস্পতিবার ছবি আঁকা প্রতিযোগীতা, নাটক, গান এবং চিত্র প্রর্দশনীর মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের আয়োজন করা হয়।
জোগান যেভাবে
স্কুলের জোগানের প্রধান অংশ আশে ‘কিন’ পরিবারের সদস্যদের মাসিক চাঁদা থেকে। জোগানের আশায় করা হয় চ্যারিটি শো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আসে স্কুলের জোগান। যদিও স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে যা অর্থ আসে তা অনেক কম। তারপরও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভবিষ্যতে হাজারো শিশুদের স্বপ্ন দেখাতে চায় কিন স্কুল। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত চেষ্টায় এ স্কুলটি শিশুশ্রমকে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে পারবে বলেও আশা করেন সবাই। সাধারণ মানুষ এবং শাবির শিক্ষকরাও এ স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১২