দুই বন্ধু ক্যাথরিন বেলিনজার ও অ্যালেক্সিস মরিন প্রিন্সটনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর তারা মহা এক সমুদ্রে পড়ে গেলেন।
শুরুতে তারা কলেজগুলোতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং করতেন। ভবিষ্যতকে আরো সুন্দর করে গড়ে তুলতে কোন বিষয়ে পড়াশোনা করবে এবং কীভাবে পড়বে এ বিষয়গুলো নিয়ে তারা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতেন। সংগঠনটি শুরু করার পর পরই অন্যন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন একটি সংগঠন গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। খুব সময়ে মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেশকয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটির শাখা চালু হয়। স্টুডেন্ট ফর এডুকেশন সম্পূর্ণ অলাভজনক একটি সংগঠনে রূপ নেয়।
শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। বন্ধ করতে হবে অর্জনের ব্যবধান এবং প্রতিটি শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতেই কাজ করে যাচ্ছে ‘স্টুডেন্ট ফর এডুকেশন’ সংগঠনটি।
স্টুডেন্ট ফর এডুকেশনের সদস্যরা মনে করেন, প্রতিটি মানুষের শিক্ষার অধিকার আছে। বিশেষ করে শিশুদের। কারণ তারাই আগামী দিনের নেতা।
সে লক্ষ্যেই তারা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা অনুষ্ঠান করেন। বিশেষ করে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তারা এমন আয়োজন করেন। এতে করে তারা সে আলোচনায় তাদের সমস্যাগুলোর কথা তুলে ধরতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোর্সগুলোতে কোন পরিবর্তন জরুরী কিনা সে বিষয়ে আলোচনা আয়োজন করা হয়। সে আলোচনায় নিয়ে আসা হয় পাশ করে যাওয়া শিক্ষার্থীদের। আলোচনার ফলাফল নিয়ে সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরে স্টুডেন্ট ফর এডুকেশন সংগঠনটি। এভাবেই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজে নতুন প্রজন্মের নেতা উঠে আসছে। এছাড়াও নানান সমস্যাগুলো থেকে বের হওয়াও সম্ভব হচ্ছে।
পড়াশোনা শেষ করে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং দিয়ে থাকে সংগঠনটি। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা নিয়ে ইন্টার্নির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়।
স্টুডেন্ট ফর এডুকেশনের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মরিন বলেন, ‘আগামী ২ বছরে আমরা বিশ্বের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে যেতে চাই’।
স্টুডেন্ট ফর এডুকেশন বা শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্যই সেøাগানে বিশ্বাসী মরিন ও বেলিনজার। তারা বলেন, ‘পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর দেখা যায় অনেকেই সঠিক নির্দেশনা পায় না। তাদের জন্যও এ সংগঠনটি কাজ করবে। এমনকি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্যও আমরা কাজ করে থাকি। ’
মোরিন বলেন, ‘অনেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে শুধু মেধাবীদের বেছে নেয়; কিন্তু আমরা মনে করি মেধাবী কিংবা দূর্বল বলে শিক্ষায় বিভেদ থাকা উচিত নয়। সবার জন্য শিক্ষা। যে ছেলে বা মেয়েটি গরীব এবং মেধাতেও দূর্বল; তাকেও আমরা শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১২