ঢাকা, সোমবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

হফম্যানের লিংকডইন

শেরিফ সায়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২৫, জানুয়ারি ২৪, ২০১২
হফম্যানের লিংকডইন

বন্ধুত্ব এখন চলে গেছে অনলাইনের দখলে। এক্ষেত্রে ফেসবুক এবং টুইটার নাম দুটি বেশ পরিচিত।

এসব সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তৈরি হয় ভার্চুয়াল সম্পর্ক। তবে এ ভার্চুয়াল সম্পর্কটিকে অন্যরকম মাত্রা দিয়েছে লিংকডইন। লিংকডইন এখন পৃথিবীতে যারা ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবেন তাদের কাছে জনপ্রিয়। ব্যবসা হোক কিংবা চাকরি হোক; সবকিছু নিয়ে সোশ্যাল ওয়েবসাইটে তথ্য শেয়ার করার অন্যতম মাধ্যম লিংকডইন।

ভিন্ন ধারার এ সাইটটির প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন রেইড জি হফম্যান। তার জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৯৬৭ সালের ৫ আগস্ট। বড় হয়েছেন বার্কলেতে। পড়াশোনা করেছেন দ্য পুটনে স্কুলে। উচ্চতর পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। ‘সিম্বলিক সিস্টেমস’ বিষয়ে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।   বিজ্ঞান ছাত্র হলেও স্নাতক শেষ করে তিনি দর্শন বিষয়ে পড়তে ১৯৯৩ সালে উড়ে যান অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে।

পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার স্বপ্ন ছিল হফম্যানের। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘আমি ভাবতাম শিক্ষকরাই সমাজকে পাল্টে দিতে পারে। কিন্তু পরে খেয়াল করলাম শিক্ষকরা শুধু ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। এর বেশি তাদের কিছু করার থাকে না। সমাজ পাল্টে দিতে হলে প্রয়োজন মানুষের সঙ্গে থাকা। তাই কোনো ক্লাসে বসে মানুষের সঙ্গ পাওয়া যায় না। মানুষের সঙ্গ পেতে প্রয়োজন ক্লাসের বাইরের জগতটার কাছে যাওয়া। আমি সেটাই করেছি। ’

শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন বাদ দিয়ে তিনি যোগ দেন স্টিভ জবসের অ্যাপেলে। এরপর ফুজিৎসুতে কাজ করেন কিছুদিন। হুট করে তিনি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শুরু করেন ব্যবসা। তৈরি করেন ‘সোশ্যালনেট ডট কম’। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরালো করার লক্ষ্যে ২০০২ সালে গড়ে তোলেন ‘লিংকডইন’। এটি এক অর্থে অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রথম ব্যবসা।  

লিংকডইন প্রতিষ্ঠান পর থেকে টানা চারবছর তিনি প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। লিংকডইনকে জনপ্রিয় করার জন্য তিনি দিনরাত ভেবেছেন। চাকরির খুঁজা থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পর্যন্ত লিংকডইনের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছে এর সঙ্গে যুক্ত মানুষগুলো। বর্তমানে সারা বিশ্বে ১০০ মিলিয়ন সদস্য লিংকডইনের সাথে যুক্ত।    
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।