ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ড্রাগন বেবি পেতে চীনাদের ব্যস্ততা!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫৪, জানুয়ারি ২৪, ২০১২
ড্রাগন বেবি পেতে চীনাদের ব্যস্ততা!

ড্রাগন হল এক ধরণের কল্পিত প্রাণী, যারা মুখ দিয়ে আগুন বের করতে পারে। চীন, জাপান, কোরিয়া, ইন্দোচীন, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশের উপকথায় এ জীবের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়।

তবে ইন্দোনেশিয়ার কোমোডো দ্বীপে কোমোডো ড্রাগন নামে এক ধরণের সরীসৃপের দেখা মিলে, যারা মূখ দিয়ে আগুন বের করতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। তবে বাস্তবে তারা মুখ দিয়ে আগুন বের করেতে পারে না। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে- তাদের লালচে উজ্জ্বল জিবকেই আগুন বলে ভ্রম করেন অনেকে।

হলিউডে ড্রাগন নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহু চলচ্চিত্র। বিশ্বের অনেক দেশ যেমন চীন, ভিয়েতনাম, ভূটান কল্পিত এ প্রাণীকে জাতীয় পশুর মর্যাদা দিয়েছে। প্রসঙ্গত আমাদের দেশে অতি পরিচিত ঘাস ফড়িংকে ড্রাগনফ্লাই নামে ডাকা হয়।

দেশে দেশে ড্রাগন নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-আয়োজন আর কর্মকাণ্ডের দৌড়ে চীন বা চীনারা বরাবরই এগিয়ে।

উল্লেখ্য, চীনে প্রতি ১২ বছর অন্তর পরের বছরটি কোনো জীব বা প্রাণীর নামে উৎসর্গ করা হয়। যেমন-ইঁদুর বর্ষ, বাঘ বর্ষ, খরগোশ বর্ষ, সাপ বর্ষ ইত্যাদি। তেমনি প্রতি ১২ বছর পর পর আসে ড্রাগন বর্ষ। চীনা নাগরিকদের কাছে ড্রাগন বর্ষকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। তারা ড্রাগনকে দেখেন ‘সাহসিকতার প্রতীক’ হিসেবে।

উল্লেখ্য, চীনাদের ঐতিহ্যবাহী চান্দ্রবর্ষ অনুযায়ী চলতি বছরটি অর্থাৎ ২০১২ সালটি ড্রাগন বর্ষ। ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ড্রাগন বর্ষ।  

চীনাদের বিশ্বাস মতে, বিশেষ এই বছরে জন্ম নেওয়া মানব সন্তানরাও হবেন সাহসী, জ্ঞানী ও পরিবারের জন্য কল্যাণকর- এমন ধারণায় বলীয়ান হয়ে চীনারা এই বছরে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য রীতিমত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন। কেবল চীনারা শুধু একা নয়, ড্রাগনবর্ষে ব্যতিক্রমী এ প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত দেখা যায় সিংগাপুর, হংকংসহ আরো কয়েকটি দেশের নাগরিকদেরকে।
 
ডয়েচে ভেলে অনলাইন জানায়, এবারের ড্রাগন বর্ষে সন্তান জন্ম দেয়ার প্রতিযোগিতায় এসব দেশের হাসপাতালগুলোতে ভিড় লেগে গেছে। সন্তান সম্ভবা নারীদের সংখ্যা এতই বেশি যে, সেখানকার অনেক হাসপাতালেই ‌আর সিট খালি নেই। এ বছরে জন্ম নেয়া সন্তানদের বলা হবে ‘ড্রাগন বেবি’।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ২৪ জানুয়ারি, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।