প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই সেখানে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৩০ মাঘ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৮৮০ - টমাস আলভা এডিসন ‘এডিসন অ্যাফেক্ট’ পর্যবেক্ষণ করেন।
১৯৩১ - ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়া দিল্লিতে স্থানান্তর সম্পন্ন।
১৯৩৪ - সোভিয়েত বাষ্পীয় জাহাজ এসএস চেলয়ুসকিন আর্কটিক মহাসাগরে ডুবে যায়।
১৯৪৫ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: লাল ফৌজের কাছে নাৎসি জার্মানি ও হাঙ্গেরি বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বুদাপেস্ট অবরোধের সমাপ্তি।
১৯৮২ - গুয়েতেমালায় রিও নিগ্রো গণহত্যা সংঘটিত।
১৯৯০ - জার্মান পুনঃএকত্রীকরণ: জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য দুই স্তরবিশিষ্ট পরিকল্পনার বিষয়ে সমঝোতা হয়।
১৯৯১- উপসাগরীয় যুদ্ধ: দুইটি লেজার নিয়ন্ত্রিত বোমার আঘাতে বাগদাদের আমিরিয়া বাংকার ধ্বংস হয়। এতে ৪০০ জনেরও বেশি ইরাকি বেসামরিক লোক নিহত হলেও মিত্রবাহিনী দাবি করে যে বাংকারটি সামরিক যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল।
জন্ম
১৫৯৯ - পোপ সপ্তম আলেক্সান্ডার।
১৮৭৯ - সরোজিনী নাইডু, ভারতীয় বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী।
১৮৮৫ - বেস ট্রুমান, যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম ফার্স্টলেডি।
১৮৯১ - গ্রান্ট উড, আমেরিকান চিত্রশিল্পী ও একাডেমিক।
১৮৯২ - রবার্ট এইচ. জ্যাকসন, আমেরিকান আইনজীবী, বিচারক ও রাজনীতিবিদ, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল।
১৯১৩ - খালিদ বিন আবদুল আজিজ, সৌদি আরবের বাদশাহ।
১৯১৫ - অং সান, মায়ানমারের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও সমরনায়ক।
১৯২৯ - গাজীউল হক, বাংলাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, সাহিত্যিক ও ভাষা সৈনিক।
বাঙালি লেখক, বুদ্ধিজীবী ও ভাষাসৈনিক গাজীউল হক। ভাষাসৈনিক গাজীউল হক ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি ভঙ্গকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গাজীউল হক। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তার লেখা ‘ভুলব না ভুলব না ভুলব না, এই একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’ গানটি গেয়ে প্রভাতফেরি করা হতো। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক এ সদস্য রাষ্ট্রভাষা পদক ও সম্মাননা স্মারক, শেরেবাংলা জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।
মৃত্যু
১৭২৭ - উইলিয়াম উটন, ব্রিটিশ ভাষাবিদ ও পণ্ডিত।
১৯৫০ - রাফায়েল সাবাতিনি, ইতালীয় লেখক।
১৯৮৫ - রাউফুন বসুনিয়া।
১৯৯৬ - মার্টিন বেলসাম, মার্কিন।
২০১২ - হুমায়ুন ফরিদী, বাংলাদেশি অভিনেতা।
হুমায়ুন ফরিদী, বাংলাদেশি অভিনেতা। ১৯৫২ স্লাএর ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নাট্য উৎসবের তিনি অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এ উৎসবের মাধ্যমেই তিনি নাট্যাঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি ঢাকা থিয়েটারের সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৯০-এর দশকে হুমায়ুন ফরিদী চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। সেখানেও তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা পান। বলা হয়, শ্যুটিং চলাকালে অভিনেতার তুলনায় দর্শকেরা হুমায়ুন ফরিদীর দিকেই আকর্ষিত হতো বেশি। বাংলাদেশের নাট্য ও সিনেমা জগতে তিনি অসাধারণ ও অবিসংবাদিত চরিত্রে অভিনয়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। ২০০৪ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। নাট্যাঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে সম্মাননা দেয়। ২০১৮ সালে পেয়েছেন মরণোত্তর একুশে পদক। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এ অভিনেতার মৃত্যু হয়।
২০১৫ - কেশব রেড্ডি, ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক।
২০১৭ - স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী ক্ষমা দাশ গুপ্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
এএ