ঢাকা: ভোরের আলো না ফুটতেই পৌঁছে গেলাম মাজার রোড হয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায়। তারপর সেখান থেকে ৫ কিলোমিটার এগোলেই সাভার বিরুলিয়া ব্রিজ।
শ্যামপুর গোলাপ বাগানের পাশেই দোকানে গোলাপ ফুলসহ অন্য ফুল দিয়ে মালা গাঁথছে ঘুরতে আসা দর্শণার্থীদের কাছে বিক্রি করার জন্য। সময় যতো বাড়ছে রাজধানী ঢাকাসহ দূর-দূরান্ত থেকে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, পরিবার, কেউ বা প্রিয়জন নিয়ে এসেছে গোলাপ বাগান দেখতে। কিছু ফুল কিনতে।
নিষেধ থাকা সত্ত্বেও গোপনে বাগানে ঢুকে সেলফি তোলার সুযোগ হাত ছাড়া করছেন না কেউ কেউ। বাগানগুলোতে শুধু লাল গোলাপ নয়। মাঝে মাঝে গোলাপি, হলুদ, সাদা, পিঙ্ক কালারের ও গোলাপ ফুল দেখা গেছে।
গোলাপ গ্রামে ঘুরতে আসা কলেজছাত্র আতাহার বাংলানিউজকে বলেন, সামনে ভালোবাসা দিবস তাই আমরা ৭ জন বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে ধামরাই থেকে এসেছি ফুল কিনতে। জীবনে প্রথম এই গ্রামে এসে আমরা আপ্লুত। কারণ এক সঙ্গে এতোগুলো গোলাপ ফুলের বাগান আমরা কখনো দেখিনি।
দুপুর ১২টার পর থেকে গোলাপ গ্রাম তরুণ-তরুণী আর কলেজের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে পড়ে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ভালোবাসা দিবসে সব জায়গা মানুষের জটলা থাকে তাই আগে-ভাগে ভালোবাসা দিবস পালন করতে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঘুরতে ও সময় কাটাতে তাদের এখানে আসা। শ্যামপুর গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুল খালেক (৬০) বলেন, ছোটবেলা থেকেই এ কাজের সঙ্গে জড়িত। এই পেশায় থেকেই ছেলেদের লেখাপড়া করিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ভাষা দিবস ও ভালোবাসা দিবস আসলেই ফুলের কদর বাড়ে, কয়েকটা টাকা চোখে দেখা যায়। এছাড়া অন্য সময়ে হাজার হাজার ফুল বিক্রির অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। সরকার আমাদের এই অঞ্চলের ৬-৭শ’ ফুলচাষিদের দিকে নজর দিলে সারা বছর হয়তো বৌ-পোলাপান নিয়ে কোনো রকমের সংসার চালাতে পারতো।
বাংলাদেশ সময়:০৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
এনটি