ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

জনগণের হাতের মুঠোয় ডিজিটাল সেবা

দীপংকর বর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২১
জনগণের হাতের মুঠোয় ডিজিটাল সেবা ...

ঢাকা: একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনবদলের সনদ রূপকল্প- ২০২১ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। সময়োপযোগী এ রূপকল্পে তিনি তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণের অঙ্গীকার করেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর অন্যান্য ভিশনের রূপরেখায় একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, নাগরিকদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন, ই-গভর্মেন্টের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বেসরকারি সেক্টরকে আরও উৎপাদনশীল ও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলার কথা উল্লেখ করেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব অর্পিত হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের ওপর। এটুআই প্রোগ্রামের সহযোগিতায় কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পসহ প্রতিটি সেক্টরের সরকারি সেবা জনগণের হাতের মুঠোয় তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সাত হাজার ৬০০টি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপিত হয়। এ সকল ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রায় ৩০০ ধরনের নাগরিক সেবা দেওয়া হচ্ছে। স্বচ্ছ, দক্ষ, জবাবদিহিমূলক, উদ্ভাবনী ও জনমুখী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা; সরকার ও নাগরিকের মধ্যে দূরত্ব কমানো এবং সকল সরকারি সেবা একটি প্লাটফর্মে আনতে জাতীয় তথ্য বাতায়ন নির্মাণ করা হয়েছে। তথ্য বাতায়নে সরকারি দপ্তরের প্রায় ৫১ হাজার ৫০০ সরকারি ওয়েবসাইটকে একত্রে সংযুক্ত করে নাগরিকের প্রয়োজনীয় তথ্য ও এ পর্যন্ত প্রায় ৬৫৭ ধরনের সেবা সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রক্রিয়া গতিশীল করতে আট হাজার অফিসের প্রায় ১১ লাখ সরকারি কর্মচারীকে ই-নথির আওতায় আনা হয়েছে। সকল নাগরিককে জরুরি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিতে ৯৯৯ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ঘরে বসেই ৩৩৩ হেল্পলাইনে ফোন করে দেশের জনগণ তথ্য বাতায়নের সকল তথ্য সেবা পাচ্ছে। এ হেল্পলাইনের মাধ্যমে নাগরিকগণ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তার কাছে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান ও নাগরিক সেবা প্রাপ্তির অনুরোধ করতে পারছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ৩৭ লাখের বেশি গরিব ও অসহায় মানুষের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। করোনা মহামারীকালীন তালিকার বাইরের কেউ অসহায় হয়ে পড়লে ৩৩৩ হেল্পলাইনে ফোন করেও সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন। এসময় হেল্পলাইনে ফোন করে প্রায় চার হাজার ডাক্তারের নিকট থেকে চার লাখেরও বেশি মানুষ টেলিমেডিসেনের সহায়তা নিয়েছেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য দিক-নির্দেশনায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, বনজ সম্পদ উন্নয়ন ও সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর বাস উপযোগী টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন তথা জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯ অনুসরণে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে উন্নীত করতে সব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর সরকার গুরুত্বারোপ করেছে। এর অংশ হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন অধিদপ্তর/সংস্থার প্রধান প্রধান সেবা দেওয়ায় গতিশীলতা আনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সেবা সহজীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ১২ ধারায় শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা প্রকল্প গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর হতে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে নতুন বা বিদ্যমান শিল্প কারখানা/প্রকল্পের আবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিদর্শন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর এটুআই প্রকল্পের  সহায়তায় ২০১৩ সালের ৪ অক্টোবর থেকে ছাড়পত্র অটোমেশন প্রকল্প নেওয়া হয়। সারাদেশে ২০১৫ সালের ১ জুন থেকে অনলাইনে আবেদন বাধ্যতামূলক করা হয়।  ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে অধিদপ্তরের সকল দপ্তর থেকে পরিবেশগত ছাড়পত্র/নবায়নের ই-সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু হয়। ফলে, উদ্যোক্তারা ঘরে বসে আবেদন এবং পরিবেশগত ছাড়পত্রের ই-সার্টিফিকেট নিচ্ছেন।

অনলাইনে পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণাগারের আবেদন নেওয়া ও ফলাফল দেওয়ার উদ্দেশ্যে 'ই-গবেষণাগার রিপোর্ট' সফটওয়্যার নির্মাণ করে অটোমেশন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে। ঢাকা গবেষণাগারে ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর থেকে বাধ্যতামূলকভাবে গবেষণাগার রিপোর্টের জন্য অনলাইন আবেদন নেওয়া হচ্ছে। উদ্যোক্তারা অনলাইনে পরিবেশ ছাড়পত্র ও গবেষণাগার রিপোর্ট পেতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট অথবা সরাসরি ecc.doe.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র/নবায়ন এবং গবেষণাগারের ফলাফলের জন্য আবেদন দাখিল এবং গবেষণাগারের ফলাফল নিতে পারছেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশগত ছাড়পত্রের অটোমেশন সফটওয়্যারের সঙ্গে এ বছর বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ হাই-টেকপার্ক অথোরিটির ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করা যায়, চলতি বছরের মধ্যে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশগত ছাড়পত্রের অটোমেশন সফটওয়্যারের সংযোগ করা যাবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও গবেষণাগার রিপোর্ট সেবা ডিজিটালাইজেশনের আগে সেবাগ্রহীতারা বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্খিত সমস্যার মুখোমুখি হতেন। উপজেলা পর্যায়ের একজন উদ্যোক্তা তার প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ছাড়পত্র নিতে চাইলে ছাড়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানতে এক দিন, আবেদনপত্র দাখিল করতে পু্নরায় এক দিন জেলা কার্যালয়ে আসতেন। এরপর জেলা কার্যালয় থেকে প্রতিবেদন নেওয়া সাপেক্ষে আঞ্চলিক কার্যালয়ে আবেদন অনুমোদিত হতে দীর্ঘ সময়ের অপচয় হতো। ছাড়পত্র প্রস্তুত হলে তা সংগ্রহের জন্য উদ্যোক্তাকে আরো একদিন উপস্থিত হতে হতো। উল্লিখিত ছাড়পত্র দেওয়া পদ্ধতিতে দেখা যায়, একজন উদ্যোক্তার তিনটি দিন এবং যাতায়াত বাবদ অপ্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় হতো। সেবা ডিজিটালাইজেশনের পরে কাজের গতি এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে সেবা গ্রহীতার অফিসে যাওয়া, মূল্যবান সময় ও অর্থের অপচয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশগত ছাড়পত্র/নবায়ন এবং ই-ল্যাব অটোমেশন প্রক্রিয়া শুরু হওয়া থেকে অদ্যাবধি পরিবেশগত ছাড়পত্র/ নবায়নের জন্য অনলাইনে এক লাখ নয় হাজার ৬৯৪টি আবেদন করা হয়েছে এবং যার মধ্যে বিধি মোতাবেক ৫৬ হাজার ৬৫৭টি ছাড়পত্র/নবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া, অনলাইনে ১৩ হাজার ২৬৭টি প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণাগারের ফলাফল দেওয়া হয়েছে।

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ই-সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানা ধরণের উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়েছে। এটুআই প্রোগ্রামের ‘সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড’র সহযোগিতায় নাগরিক সেবা দেওয়া প্রক্রিয়াকে সহজ এবং এর গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ/সেবা সহজীকরণের প্রস্তাব বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়  পরিবেশ সংক্রান্ত 'মামলা ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ' সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে পরিবেশ সংক্রান্ত মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 'আবেদন/আপীল নিষ্পত্তি সহজীকরণ' প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয়ে আপীলকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সময় ও খরচ সাশ্রয়ের জন্য আপীল আবেদন অনলাইনে সম্পন্নের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বন বিভাগ বাস্তবায়নাধীন সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের প্রাপ্য লভ্যাংশ নিতে ভোগান্তি দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 'সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের লভ্যাংশ বিতরণে ডিজিটাল ডাটাবেইজ তৈরিকরণ' প্রক্রিয়ায় স্বল্প সময়ে উপকারভোগীদের লভ্যাংশ প্রাপ্তির সংবাদ মোবাইল এপস এর মাধ্যমে জানানো হবে এবং প্রদেয় টাকা অনলাইনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে জমা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দিতে সরকার নির্ধারিত ফি অনলাইনে চালানের মাধ্যমে জমা দেওয়ার জন্য 'অনলাইন পেমেন্ট ইন ইসিসি' অটোমেশন সফ্টওয়্যারে ইলেকট্রনিক ট্রেজারি চালান ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে সেবা গ্রহীতারা সোনালী ব্যাংক বা বিভিন্ন ধরনের কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সহজেই ফি পরিশোধ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর 'মোবাইল এপস ও বনজ বৃক্ষের পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাই দমন' কার্যক্রমের মাধ্যমে বনজ নার্সারি, বাগান বা বন রোগ-বালাই বা পোকা-মাকড় দ্বারা আক্রান্ত হলে উদ্ভাবিত এপস ব্যবহার করে সেবা গ্রহীতারা তাৎক্ষণিক ভাবে এর প্রতিকার বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে পারবেন। বাংলাদেশ বন শিল্প উনয়ন করপোরেশন 'রাবার বিক্রয়করণ প্রক্রিয়া সহজিকরণ' উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড 'প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ে ডিজিটাল ডাটাবেইজ তৈরি'র মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও  ডিজিটাল পদ্ধতিতে মনিটরিং করার উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম 'মোবাইল এপস এর মাধ্যমে উদ্ভিদ নমুনা শনাক্তকরণ' প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছে। ফলে কোভিড-১৯ জনিত মহামারীর কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা নেমে আসলেও বাংলাদেশের উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা সমবেগে ধাবমান রয়েছে। ই-নথির মাধ্যমে সকল সরকারি দপ্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রক্রিয়া ও দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। যাবতীয় দাপ্তরিক সভা ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যমে চলমান রয়েছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের আন্তরিক প্রয়াসে সর্বাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণের এই সুমহান কর্মযজ্ঞ চলমান থাকবে । পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ও সরকারের একটি অন্যতম অংশ হিসেবে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল ধরনের জনসেবা সহজীকরণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে। নাগরিকগণ সরকারি ডিজিটাল সেবাগ্রহণসহ জীবনের সম্ভাব্য সকল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিপূর্ণতায় এগিয়ে আসবে এটাই সরকারের প্রত্যাশা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।