ঢাকা: বই হচ্ছে- জ্ঞান অর্জনের শ্রেষ্ট মাধ্যম। জ্ঞান অন্বেষণে যে জাতি যত এগিয়ে, বিশ্ব সভ্যতার প্রথম সারিতে ঠাঁই তাদেরই।
‘জ্ঞান অর্জন করতে হলে, প্রয়োজনে সুদূর চীন দেশে যাও’- মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) তাঁর প্রিয় উম্মতদের উদ্দেশ্যে এমন বাণী দিয়েছিলেন।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়ুন নান প্রদেশের থোং ছোং জেলার হো শুন গ্রন্থাগার। চীনের সবচে’ প্রাচীন ও বৃহত্তম গ্রামীণ গ্রন্থাগার হিসেবেই নয়, অপরূপ স্থাপত্য শৈলীর জন্যও বিখ্যাত এটি।
১৯২৮ সালে স্থানীয় অধিবাসীরা জ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য ছোট একটি পাঠাগার নির্মাণ করেন। ছোট এ গ্রন্থাগার প্রবল জ্ঞান পিপাসু স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদা মেটাতে পারছে দেখে, আরো অনেক প্রাবাসী চীনা ও চীনা বংশোদ্ভূত বিদেশিরা প্রচুর বই কিনে সম্বৃদ্ধ করেন গ্রন্থাগারকে।
চীনের হো শুন এলাকার অধিকাংশ মানুষ প্রবাসে থাকেন। স্থায়ী বসবাসকারীর সংখ্যা ছ` হাজারের কিছু বেশি হলেও ১৮ সহস্রাধিক অধিবাসীদের বাস বিদেশে। যাদের বেশিরভাগের অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ।
হো শুন গ্রন্থাগারের মহাপরিচালক ছুন ইউ জানান, ‘সাধারণত স্থানীয় মানুষেরা এখানে বই ও পত্রিকা পড়েন। এখানে মোট ৪১ ধরণের পত্রিকা ও একশ`রও বেশি সাময়িকী রাখা হয়। আট হাজারেরও বেশি বই আছে।
তিনি জানান, গ্রন্থাগারের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ৮০ বছর পেরিয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ার কারণে এখানে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। তাই আমরা গ্রন্থাগারের পাশে নতুন করে অধ্যয়ণকক্ষ নির্মাণ করি।
ভবিষ্যতে আমরা বাইরে অধ্যয়ণ এলাকা নির্মাণ করবো। ফলে সবাই ফুল বাগানে বই ও পত্রিকা পড়তে পারবেন। ইন্টারনেট প্রযুক্তির অব্যাহত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এই গ্রন্থাগারে ইলেকট্রোনিক অধ্যয়ণ সুবিধাও যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
সূত্র: সিআরআই অনলাইন
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১২