মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ‘টুইট’ করে নির্বাচনের প্রচারণা চালান। বলা হয়, সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহারে বারাক ওবামা এগিয়ে ছিলেন।
জ্যাকের জন্ম ১৯৭৬ সালের ১৫ নভেম্বর, মিসৌরিতে। স্কুলে পড়ার সময়ে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তিনি তৈরি করেন এমন এক সফটওয়্যার যা দিয়ে ট্যাক্সিক্যাবের চালকদের মাঝে যোগাযোগ রক্ষা এবং কেন্দ্রিয়ভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তখনই ট্যাক্সিক্যাব প্রতিষ্ঠানগুলো এই সফটওয়্যারটি লুফে নেয়।
পরবর্তীকালে জ্যাক মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে ভর্তি হন। কিন্তু পড়াশোনা শেষ না করেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন। মিসৌরি থেকে তিনি চলে যান ক্যালিফোর্নিয়ায়। ২০০০ সালে নিজের তৈরি প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার তৈরিতে গবেষণার কাজ শুরু করেন। তাঁর প্রথম কাজ ছিল তথ্য দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার সফটওয়্যার নিয়ে। শুরুতে তিনি ভেবেছিলেন ‘একজন মানুষ তার মনের কথা যে কোনো সময় তার বন্ধুদের সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শেয়ার করতে পারবে। ’ তার এ ভাবনা থেকেই টুইটারের জন্ম।
মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে জ্যাক খুব সাধারণ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন। যেখানে সঙ্গে সঙ্গে একটি বার্তা সবার কাছে পৌঁছে যেতে পারে। তবে সেই বার্তা ১৮০ টি অক্ষরের মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে হবে।
এ প্রসঙ্গে জ্যাক বলেন, ‘আমি সবসময় প্রতিভার কদর করি। তাই আপনাকে যখন কাজের ক্ষেত্রটি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে তখন ওই জায়গাতেই কী করে নিজের প্রতিভা দেখাতে পারেন সে বিষয়ে চেষ্টা করবেন। আমরা চাই না আপনি বড় বড় বাক্য লিখবেন। নিজের মনের কথা বড় বড় বাক্যে লিখতে আমরা কাউকেই উৎসাহিত করি না। আমরা চাই ১৪০ শব্দে নিজের সম্পর্কে বলতে গেলে প্রতিটি মানুষ একটু ভাববে। তারপর লিখবে। এই ভাবনাটা তার লক্ষ্যকে নির্দিষ্ট করে দেবে। ’
২০০৬ সালের ১ মার্চ। জ্যাক প্রথম টুইট করলেন, ‘জাস্ট সেটিংআপ মাই টুইটার’। মুহূর্তে বদলে গেল পৃথিবী। অবাক বিস্ময়ে প্রযুক্তিপ্রেমীরা লুফে নিল টুইটারকে।
শুধু যে প্রযুক্তিবিদরা লুফে নিল তা নয়। ব্যবসার জন্যও ব্যবহার হচ্ছে টুইটার। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জ্যাক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান টুইটার ব্যবহার করছে। তাদের পণ্যের বিপণনের জন্য টুইটারের ভূমিকা আমাকে অবাক করে। ভোক্তারা পণ্য সম্পর্কে টুইটারে মন্তব্য করে। ভোক্তাদের মন্তব্য নিয়ে পরে প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষণাও করে। সত্যিই আমি অবাক হয়ে যাই। টুইটার কখনো এভাবে ব্যবহৃত হতে পারে তা আমি চিন্তাও করিনি। ’
অনলাইন জগতে মাইক্রোব্লগিংয়ের জনক বলা হয় জ্যাক ডরসিকেই। তিনি নিজেকে সব সময়েই গুটিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। মিডিয়ার মুখোমুখি খুব সময়েই তিনি হন। এ বিষয় একবার জানতে চাওয়া হলে বলেন, আমার চেয়ে আমার কাজ গুরুত্বপূর্ণ। টুইটার যখন ব্যবহার হয় তখন প্রতিটিই মানুষই আমার সঙ্গে পরিচিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১২