ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

৯ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় নকলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২১
৯ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় নকলা

শেরপুর: শেরপুরের নকলা হানাদার মুক্ত দিবস সোমবার (০৯ ডিসেম্বর)। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে মরণপণ যুদ্ধ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১১ নম্বর সেক্টরের আওতায় নকলা অঞ্চলকে হানাদার মুক্ত করে বিজয়ের পতাকা উড়ান।

মুক্তিবাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে টু-আইসি আব্দুর রশিদ ও সিকিউরিটি অফিসার একলিম শাহ্সহ তিনশতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নকলাকে হানাদারমুক্ত করতে খণ্ড খণ্ড সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। এসব যুদ্ধে ১৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পিছু হটলেও বীর মুক্তিযোদ্ধারা ১৩০ জন রাজাকার-আলবদরকে বন্দি করেন। পলাশকান্দি গ্রামে হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পরে কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল হক চৌধুরীর কাছে ১১৭ জন রাজাকার ও আলবদর ১১০টি অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

নকলায় প্রথম পতাকা উত্তোলনের সময় মিত্র বাহিনীর মেজর রানা সিংহ, লেফট্যানেন্ট আবু তাহের, ইপিআর ওয়ারলেস অপারেটর ফরহাদ হোসেন, কোম্পানি কমান্ডার গিয়াস উদ্দিন মাস্টার এবং নকলা, শেরপুর ও নালিতাবাড়ীর প্লাটুন কমান্ডার যথাক্রমে নূরুল ইসলাম হিরু, এবি সিদ্দিক, জমির উদ্দিন; কোয়ার্টার মাস্টার জুলহাস উদ্দিন ফকির, মুক্তিযোদ্ধে গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য আবুল হাশেমসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী হাজরো জনতা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতি বছরই নকলা বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা প্রশাসন, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বীর  মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক কমান্ডার স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন দিবসটি স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।