চট্টগ্রামের ফয়েজলেক এলাকায় পাহাড়ের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং (ইউএসটিসি)। বাংলাদেশ এবং সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
‘এসো বন্ধুত্বের শেকড়ে আনন্দ ও উচ্ছাসে’ এই স্লোগান নিয়ে মেডিসিন অনুষদের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হয় শুক্র ও শনিবার ফয়েজলেকের নিজস্ব ক্যাম্পাসে। এক সময়ের শিক্ষার্থীরা আজ সবাই দেশের ডাক্তার। দেশের অসংখ্য রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। এক সময়ের আপন এ জায়গাটি সেদিন ছিল শুধুমাত্র প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্যই।
এক সময় সকাল সকাল ক্লাসের জন্য যারা দৌড়ে আসত ক্যাম্পাসে; তারাই শুক্রবার সকালে নানা রঙে সেজে ক্যাম্পাসে হাজির হয় র্যালিতে অংশ নেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বর্তমান শিক্ষার্থীরাও। বড় ভাই আপুদের সঙ্গে পেয়ে তারাও আনন্দে আত্মহারা। ১ম থেকে ২৫ তম ব্যাচের পুরানো ও নতুন শিক্ষার্থীরা মিলে আনন্দের সঙ্গে র্যালিতে অংশ নেয়।
র্যালির পর আড্ডা জমতে থাকে। একসময়ে একই ক্লাসে কিংবা একই হোস্টেলের সেই সব বন্ধুদের সঙ্গে স্মৃতিকথায় মেতে ওঠে সবাই। প্রমাণ হলো বন্ধুত্ব কখনো শেষ হয় না।
বিকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. অফছারুল আমীন এসে উপস্থিত হন। তিনি তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পরদিন শনিবার থাকে ফয়েজলেক ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। দিন শেষে সংগীতানুষ্ঠান ও কুমার বিশ্বজিতের কনসার্ট এবং র্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের সমাপ্তি হয়।
দুদিন যেন তারা ফিরে গিয়েছিল নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে। যেখানে হিসাবী জীবন ছিল না। সবাই হারিয়ে গিয়েছিল রঙের মেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১২