ঢাকা, সোমবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ইজাজ আহমেদ মিলনের কাব্যগ্রন্থ

‘দেহারণ্যের ভাঁজে শূন্যতার বিলাপ’

আশরাফুল ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০২, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১২
‘দেহারণ্যের ভাঁজে শূন্যতার বিলাপ’

ঢাকা: এবারের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তরুণ কবি ইজাজ আহমেদ মিলনের ২য় কাব্যগ্রন্থ ‘দেহারণ্যের ভাঁজে শূন্যতার বিলাপ’।

সংকলনে অপূর্ব সুন্দর ৬৭টি কবিতায় সমাজের নানা দীনতা, হানাহানি, অসঙ্গতির পাশাপাশি কবির ব্যক্তি জীবনের অসংখ্য অভিজ্ঞতা বাঙ‌‌ময় হয়ে ফুটে উঠেছে।

   

রাজিব রায়ের প্রচ্ছদে কাব্যগ্রন্থ ‘দেহারণ্যের ভাঁজে শূন্যতার বিলাপ’ প্রকাশ করেছে বিভাস প্রকাশনী। এর দাম রাখা হয়েছে ১৬০ টাকা। বিভিন্ন সময়ে সংবাদপত্রে পূর্বপ্রকাশিত কবিতা দিয়েই সাজানো হয়েছে এ সংকলন। সংকলনের সবক’টি কবিতাতেই অসম্ভব জীবনবোধের পরিচয় পাওয়া যায়।

দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে বেড়ে ওঠা শৈশবস্মৃতি কবির লেখনিতে মর্মস্পর্শী ভাষায় ফুটে উঠেছে। সংকলনের ‘মা খুব কি মনে পড়ছে আজ’ কবিতায় কবি লিখেছেন-

‘খুব কি মনে পড়ছে-
অনাহারে কাটানো আমার দুরন্ত বৈশাখ
অভাবের আগুনে ঝলসানো তোমার প্রিয় সংসার
বাজার থেকে শূন্য থলে হাতে বাবার বাড়ি ফেরা
তেলের চিটচিটে বিছানায় শুয়ে থাকা
বোনের হাড্ডিসার শরীর
কাল বৈশাখী ঝড়ে উড়িয়ে নেওয়া
ছনের ছাউনির সেই আমাদের ঘর
এসব কি খুব মনে পড়ছে আজ?’

ইজাজ আহমেদ মিলন জন্মেছেন ১৯৮৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, শাল-গজারির অরণ্যঘেরা গাজীপুরের শ্রীপুরের চকপাড়া গ্রামে। নয়নাভিরাম নিসর্গ আর ব্যক্তিজীবনের কঠিন-কঠোর বাস্তবতা ও জীবনবোধ কবিতা লিখতে অনুপ্রাণিত করে মিলনকে। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্যেও কবির কাব্য প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। কবিতার প্রতি অপরিমেয় ভালোবাসা তাকে স্বল্প সময়েই সাফল্য এনে দেয়। ২০০৯ সালে মিলনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নষ্ট শরীরর ভিজে না রৌদ্র জলে। ’ এ কাব্যগ্রন্থের জন্য কবি ইজাজ আহমেদ সিটি ব্যাংক প্রবর্তিত ইমপ্রেস টেলিফিল্ম (চ্যানেল আই)এর সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। অর্জন করেন দেশের প্রতিষ্ঠিত লেখকদের আশীর্বাদও।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।