ঢাকা: দুই-একশ’ বছর নয়, ৩০ হাজার বছর আগের কাঁঠবেড়ালির দ্বারা সংরক্ষিত কোনো বীজ থেকে চারা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে! শুধূ চারা বললে কম বলা হবে, উৎপন্ন করা সম্ভব হয়েছে সুদৃশ্য ফুলের গাছ!
অনেকটা চমকে ওঠার মতো খবর হলেও রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা এমনটাই করে দেখিয়েছেন।
পৃথিবীর শীতলতম অঞ্চল সাইবেরিয়ার চির তুষার আবৃত কোনো একটি এলাকা থেকে সংগৃহীত বীজ থেকে রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সাইন্স’র বিজ্ঞানী স্ভেটলানা ইয়াশিনা এবং ডাভিড গিলিচিন্সকি মিলিত ভাবে এ সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।
বীজটির বৈজ্ঞানিক নাম সিলেন স্টেনোফিলা(Silene stenophylla)। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এটিই হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো বীজ, যা থেকে চারা বের করা সম্ভব হলো৷
এ সাফল্যের ফলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, যে সব প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, গবেষণার মাধ্যমে সেগুলোও হয়তো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে! যেগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, সংরক্ষণ করা যাবে সেগুলোকেও!
বিজ্ঞানীদের মতে, চিরতুষারের কারণে হারিয়ে যাওয়া জিনও সচল করা সম্ভব, যা পৃথিবীতে বিচরণ করছিল প্রাগৈতিহাসিক যুগেরও আগে!
বিজ্ঞানীরা আরো জানিয়েছেন, রেডিও-কার্বন পরীক্ষা চালিয়ে তারা জেনেছেন, যে বীজ থেকে চারা বের করা হয়েছে, তার বয়স ৩১ হাজার আটশ’ বছর, দু’একশ’ বছরের গড়মিল হলেও খুব বেশি পার্থক্য হওয়ার সুযোগ নেই।
রাশিয়ার ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সাইন্স’র বরাত দিয়ে উইকলি ওয়ার্ল্ড নিউজ অনলাইন জানিয়েছে, প্রায় ৭০টি কাঠবিড়ালি শীতনিদ্রায় যাওয়ার আগে এসব বীজ সংগ্রহ করেছিল৷ এরা বাস করতো কলিমা নদীর কাছে৷ তা রাশিয়ার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত, অর্থাৎ সাইবেরিয়ার খুব কাছে৷
কাঠবিড়ালিগুলো কয়েক হাজার বীজ সংরক্ষণ করেছিল৷ ফুলের বীজ থেকে বিভিন্ন ফলের গাছও রয়েছে এর মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১২