নিউইয়র্ক : ব্ল্যাক হিস্টরি মান্থ উপলক্ষে নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক সিটির স্পেশালাইজড হাইস্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন টিউটোরিং সেন্টারের সঙ্গে খান’স টিউটোরিয়ালের নামও উল্লেখ করেছে।
স্টাইভ্যাসেন্ট হাইস্কুলের মত সেরা স্কুলে ভর্তির জন্যে মেধাবী ছেলেমেয়েরা মাসের পর মাস প্রস্তুতিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করে ক্যাপলেন, প্রিন্সটন রিভিও, এইম একাডেমি এবং খান’স টিউটোরিয়াল থেকে।
এ সংবাদে মূলত স্টাইভ্যাসেন্ট হাইস্কুলে কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে কেন হ্রাস পাচ্ছে সে পরিস্থিতির আলোকপাত করা হয়েছে।
উল্লেখ করা হয়েছে, এ স্কুলে ভর্তির জন্যে কেবলমাত্র মেধার গুরুত্ব দেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীর ধর্ম, জাতি-গোষ্ঠী অথবা বর্ণ যাচাই করা হয় না।
টাইমস লিখেছে, স্টাইভ্যাসেন্ট হাইস্কুলে বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩২৯৫। এর মধ্যে মাত্র ৪০ জন হলেন কৃষ্ণাঙ্গ। ৪ বছর আগে ছিলেন ৬৪ জন। অপরদিকে ১৯৭০ সালের তুলনায় বর্তমানে এশিয়ান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেড়ে মোট ছাত্রের ৭২.৫%-এ উন্নীত হয়েছে।
১৯৭০ সালে ছিল মাত্র ৬%। সংবাদে বলা হয়েছে, স্টাইভ্যাসেন্টে ভর্তির জন্যে আগে সর্বনিম্ন নম্বরের প্রয়োজন হতো ৮০০। এখন তা কমিয়ে ৫৬০ করা হয়েছে।
অর্থাৎ ভর্তি পরীক্ষায় ৫৬০ নম্বর পেলে তারা সুযোগ পায় এখানে ভর্তির। সামনের সেপ্টেম্বরে শুরু নতুন শিক্ষা বর্ষে নবম গ্রেডে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারীদের নাম এ সপ্তাহেই জানানো হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুদূর এ প্রবাসে নতুন প্রজন্মের শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ অবদানের জন্যে এ বছর একুশে পদক দেওয়া হয়েছে খান’স টিউটোরিয়ালের প্রধান মনসুর খানকে।
বাংলাদেশি মালিকানাধীন খান’স টিউটোরিয়ালের ৭টি শাখা রয়েছে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন স্থানে।
বাংলাদেশ সময় : ১৩১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১২