পাবলো পিকাসোর ভুবনবিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘গোয়ের্নিকার’ ( স্প্যানিশ উচ্চারণ `গের্নিকা`)সাথে পরচিয় নেই কিংবা এটি সম্পর্কে সামান্যতম ধারণা নেই এমন শিল্পরসিক বা শিল্প অনুরাগী খুঁজে পাওয়া ভার। বৃহদাকার দেওয়ালজোড়া ক্যানভাসে সাদা কালো ও ধুসর রঙ আর তেলের মিশ্রণে আঁকা চিত্রকর্মটির উচ্চতা ১১ ফুট, প্রস্থ ২৫.৬ ফুট।
বিস্ময়কর এক ঘটনার জন্ম দিল গোয়ের্নিকা নামের ছবিটির ৭৫ বছর পূর্তি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এর পুরো স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। একটি বিশালাকায় রোবটের মাধ্যমে এই ছবির হাজার হাজার আণুবীক্ষণিক শট নেওয়া হয়। এই প্রথম ছবিটির সব ক’টি অংশের প্রকৃত অবস্থা সর্ম্পকে জানতে বিশেষজ্ঞরা সক্ষম হয়েছেন; এমনা আগে কখনোই সম্ভব হয়নি।
গোয়ের্নিকার বর্তমান আবাসস্থল মাদ্রিদের রেইনা সোফিয়া যাদুঘর। এ মিউজিয়াম এবং স্প্যানিশ টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টেলিফোনিকার প্রচেষ্টায় প্রযুক্তিটি তৈরি। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইনফ্রারেড এবং আল্ট্রাভায়োলেট ফটোগ্রাফি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবির অভ্যন্তরীণ অনেক তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব।
এ ধরনের একটি রোবোটিক যন্ত্র বানানোর উদ্দেশ্য ছিল একটাই-- যেন গোয়ের্নিকাকে স্থানান্তর করা ছাড়াই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নীরিক্ষা করা সম্ভব হয়। তাছাড়া যন্ত্রটি তৈরি না হলে ছবিটিকে পরীক্ষা করার জন্য পরীক্ষাগারে নিতে হত, যা ছবিটির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারত বলে মনে করছেন বিষেশজ্ঞরা।
যাদুঘর সংরক্ষণকারীর প্রধান হোর্হে গার্থিয়া গোমেস বলেন, ছবিটির অবস্থা নাজুক। কেননা এর জীবদ্দশায় বহুবার স্থানান্তর এবং বহু জায়গাতে ভ্রমণ করতে হয়েছে। তাই বর্তমান অবস্থা জানার জন্য বড় ধরনের মেডিক্যাল চেক-আপ দরকার যাতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ এবং পুরো ছবির দেখভাল করা যায়।
তবে সুখবর হচ্ছে, অবশেষে সুক্ষ্ণভাবে পর্যবেক্ষণকৃত ১.৫ টন ওজনের পুরো ছবির ফটোগ্রাফিক ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
সময়: ১৭৩৬ ঘন্টা, ২৯ ফেব্রুয়ারি,২০১২