পাবনা: প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রাণিদেহে অবলীলায় ঘটে যায় বিচিত্র ধরনের অনেক ঘটনা। এসব ঘটনা দেখে কখনো কখনো চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায় মানুষের।
এমন ঘটনাই ঘটেছে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায়। বাচ্চা দেয়নি, এমনকি বাচ্চা দেওয়ার বয়সও হয়নি, অথচ দিব্যি দুধ দিয়ে যাচ্ছে মাত্র একবছরের একটি বকনা গরু। সত্যিই বিচিত্র প্রাণিদেহের এ তেলেসমাতি।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল গ্রামের ওসমান গনির এক বছর বয়সী বকনা গরুটি প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার করে দুধ দিচ্ছে।
স্থানীয়দের ধারণা, বকনা গরুটি ‘কবল্যাশ্ব্যরী গাভী’। এ গরুর দুধ পান করলে সকল প্রকার রোগবালাই ভাল হয়ে যায়।
তাই ওই বকনা গরুটি দেখা ও দুধ নেওয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন অসংখ্য লোক ওই গ্রামে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি ওই গ্রামে গিয়ে এ বিষয়ে আলাপকালে বকনা গরুর মালিক ওসমান গনি (৪৫) বাংলানিউজকে জানান, গত দুই মাস ধরে বাচ্চা না হওয়া সত্ত্বেও বকন গরুটি এভাবে দুধ দিয়ে যাচ্ছে। সকাল-বিকেল দুই বেলা দুধ দোহন না করলে ডাকাডাকি ও দড়ি টানাটানি শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দিকে বকনা গরুটির দুধের ওলান ও বাট অস্বাভাবিক স্ফিত হতে দেখে কৌতুহলবশত একদিন দোহন করে দুধ পাওয়া যায়। সেই থেকে আমরা নিয়মিত দুধ দোহন করে আসছি। ’
প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার করে দুধ পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান ওসমান গনি।
ওই বকনা গরুর দুধ নিতে আসা আরশেদ আলী (৫০), আলেপ সরদার (৫৫) ও বুলবুলি খাতুন (২৫) বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এ বকনা গরুর দুধ পান করলে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই সেরে যাবে। তাই দুধ নিতে এসেছি। ’
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফরিদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, ‘অস্বাভাবিক হরমোন নিঃসরণের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে দুধ দোহন বন্ধ করে খাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করলে এ অস্বাভাবিক অবস্থা হয়তো আর ঘটবে না। ’
নিয়মিত দুধ দোহন করলে এ বকনা গরুটির ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১২