ঢাকা, সোমবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

তরুণদের মনের খোরাক

শেরিফ সায়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪৬, মার্চ ১০, ২০১২
তরুণদের মনের খোরাক

বন্ধুরা একসঙ্গে হলেই আড্ডা জমে। বাস্তব জগত থেকে আড্ডা এখন চলে গেছে ভার্চুয়াল জগতের দিকে।

তরুণদের দল এখন ভার্চুয়াল জগতে বসেই নিয়ে ফেলে নানান উদ্যোগ। এজন্য তাদের খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। ফেসবুকে ঢুকেই একটি গ্রুপ খুলে ফেললেই হয়ে যায়। ফেসবুকের ‘মনের খোরাক’ এমনই একটি গ্রুপ। বন্ধুদের গ্রুপ।

এবার আসি মনের খোরাকের কথায়। নামটা কেন মনের খোরাক? এ প্রসঙ্গে মনের খোরাকের বন্ধুরা জানায়, দেহকে সুস্থ রাখার জন্য যেমন নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত, পুষ্টিকর, রুচিশীল খাবার প্রয়োজন; ঠিক তেমনি মনেরও যত্ন প্রয়োজন। শুদ্ধতার চর্চার মধ্য দিয়েই সে যত্ন সম্ভব।

মনের খোরাকের বন্ধুরা ফেসবুকে শেয়ার করে মনের ভেতর জমে থাকা অব্যক্ত অনুভূতি, সুখ দুঃখ, তাদের ভাবনা, কল্পনা, আশা প্রত্যাশা, চাওয়া পাওয়া। প্রতিটি মানুষ অবলীলায় লিখতে পারে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ নিবন্ধ। এসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই তারা।

মনের খোরাক নামে প্রথম ফেসবুক গ্রুপ খোলা হয় ২০০৯ সালে। চার বন্ধু মিলেই শুরু করেন। তারা হলেন, মাহবুবুল ইসলাম, শিশির শাহরিয়ার, শাহাদাত শরীফ, মঈন হাসান প্রিন্স। তারা এমন একটি গ্রুপ শুরু করার প্রসঙ্গে বলেন, ভালো কাজের চিন্তা, কল্যানের চিন্তা মনের সর্বউৎকৃষ্ট খোরাক। হতে পারে সাহিত্য চর্চা, ফুল-পাখি-গাছ, নদী, প্রকৃতি-পরিবেশ নিয়ে কাজ কিংবা হতে পারে অন্য কিছু। মোটকথা মনের খোরাক ফেসবুকের গ্রুপমাত্র নয়; বাস্তব জীবনেও আমরা এক ঝাঁক সাদা মনের মানুষ একসাথে কাজ করবো। আমরা পরস্পর আইডিয়া শেয়ার করবো, গল্প করবো, আলোচনা করবো। হাসব, কাঁদব। অনেক স্বপ্ন দেখবো, একসাথে। গবেষণা-পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়ন করবো। ঐক্য হবে আমাদের শক্তি। তথ্য-প্রযুক্তি হবে আমাদের অস্ত্র। আর কাজ করবো ভালোবেসে। মনের খোরাকের বন্ধুরা পরস্পরকে সহযোগিতা করবেন। চিন্তা, চেতনা, প্রজ্ঞা, রুচিশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তির দিক থেকে দিনে দিনে সমৃদ্ধ হবো আমরা। আর এই ভাবনা গুলোই ‘মনের খোরাক’ সৃষ্টির উদ্দেশ্য।

এবার আসি যে জন্যে তাদের নিয়ে আলোচনা। এ বছরের বইমেলায় মনের খোরাকের বন্ধুরা প্রকাশ করেছে ফেসবুকের আদলে বই ‘ভাবনার বাতিঘর’। তাদের ফেসবুক সাময়িকী ভাবনা থেকেই ‘ভাবনার বাতিঘর’ প্রকাশ পেল।

এখন পর্যন্ত ‘ভাবনার বাতিঘর’ বাংলাদেশে প্রথম ফেসবুক সাময়িকী বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বইটির সম্পাদনার কাজ করেছেন মঈন হাসান প্রিন্স। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ‘ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ মনের খোরাকের একঝাঁক তরুণ মনের ভাবনার প্রতিফলন এই ভাবনার বাতিঘর’।  

এই প্রকাশনাটিতে আছে স্ট্যাটাস, প্রবন্ধ, কবিতা, চিঠি, ছোটগল্প, আলোকচিত্র সহ অনেক কিছু। বইটি করা হয়েছে ফেসবুকের আদলে। অর্থাৎ ফেসবুকের একটি পেইজ যেমন হয় ঠিক তেমন করেই সাজানো হয়েছে। বইটি ইতোমধ্যে পাঠক কূলের মন ছুঁয়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে । বইটির মূল্য ১৫০ টাকা।

তারা সবাই চায় এই প্রকাশনাটি তারা ছয়মাস অন্তর প্রকাশ করা। তাদের স্বপ্ন হয়ে মনের খোরাক এগিয়ে যাবে। মানুষের ভাবনার জগতে নতুন ঢেউ তুলবে এমনটাই চান তারা। মনের খোরাকের তরুণ বন্ধুরা আরো বন্ধু চায়।

শুধু সাহিত্য চর্চায় নয় গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্যও লড়ে চলে তারা। ফেসবুক থেকে রাজপথেও সোচ্চার হতে ভয় নেই এ গ্রুপের বন্ধুদের। নতুন বন্ধুদের স্বাগতম জানাতে অধীর হয়ে বসে আছে সবাই। এ গ্রুপটিতে যোগ দিতে ক্লিক করুন এই লিংকে: https://www.facebook.com/groups/monerkhorak/#!/groups/monerkhorak/

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।