ঢাকা, সোমবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ইশারাতেই উড়বে প্লেন!

শেরিফ আল সায়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩৫, মার্চ ১৮, ২০১২
ইশারাতেই উড়বে প্লেন!

কমপিউটারে গেম খেলায় প্রয়োজন কিবোর্ড ও মাউস। এ ধরনের খেলায় মাথা কাজ করলেও শরীর নড়েচড়ে না।

যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

সবাই বলে, কমপিউটারে যারা গেম খেলে তারা শারীরিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ছে। তবে যদি এমন গেম হয়, যেখানে হাত নাড়াতে হবে, মুখেও কথা বলতে হবে। তাহলে বিষয়টা হয় একেবারেই অন্যরকম।

বাংলানিউজ এবং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) আয়োজিত জাতীয় উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায় প্রথম বিজয়ী ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ‘প্রজেক্ট কন্ট্রোল স্কিম রেভ্যুলেশন’ ছিল এমনই এক প্রকল্প। এখানে ভাষা এবং শরীর নাড়িয়ে গেম খেলতে হবে।

মানে হলো, আপনি গেম খেলছেন। প্লেন উড়ছে; আপনি ডানদিকে প্লেনটিকে নিতে চান, শুধু হাতকে ডান দিকে সড়িয়ে নেবেন। সঙ্গে সঙ্গে প্লেনটি ডান দিকে ঘুরে যাবে। আবার প্রয়োজনে প্লেনটির গতি বাড়াতে মুখে বলতে হবে, ‘গো ফাস্ট’। দেখবেন, প্লেনটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এ গেমটি খেলার জন্য মেধার সঙ্গে শরীরেরও পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে।

এমনই এক গেম তৈরি করেছে তিন বন্ধু। এরা হচ্ছেন রাইসুল করিম, ইমরান ফরিদ এবং কামরান ওয়ালিউল্লাহ। তিনজনই কমপিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী। এ প্রকল্পটি তৈরি করতে সহযোগিতা করেছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কমপিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুমিত খান।

রাইসুল বাংলানিউজকে বলেন, এ গেমটির জন্য প্রয়োজন ছবি ইনপুট দেওয়া। ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে ইমেজ ইনপুট নেওয়া হয়। ভাষা কিংবা শব্দ ইনপুট দিতে আছে মাইক্রোফোন। তবে এ গেমটির প্রধান বিষয় গেম ইঞ্জিনটিকে কাস্টোমাইজ করা হয়েছে।

ইঞ্জিন জেএনই-থ্রির ভেতর দেওয়া হয়েছে শব্দ, ভাষা এবং ছবি। এছাড়া সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কভিত্তিক গেম এটি। দুটি কমপিউটারের নেটওয়ার্ক তৈরি করে খেলা যাবে।

রাইসুল আরও বলেন, এ প্রকল্পটি প্রথম কোনো গেম যেখানে ইমেইজ ইনপুট দেওয়া হয়। এ ইমেইজ কী তৈরি করেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলানিউজকে রাইসুল জানায়, তারা ইন্টেলের একটি ওপেন সিভি লাইব্রেরি থেকে ইমেইজ নিয়েছে।

এমনই উদ্ভাবনীর জন্য মঞ্চে সেরা প্রকল্প হিসেবে পুরস্কার পায় ‘প্রজেক্ট কন্ট্রোল রেভ্যুলেশান’। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি প্রসঙ্গে তারা বাংলানিউজকে জানায়, শুরুতেই আমরা বুঝতে পারি এক থেকে তিনের মধ্যে থাকার একটা সম্ভাবনা আছে। তবে চ্যাম্পিয়ন হবো এটি ভাবতে পারছিলাম না। নাম শুনে হাত-পা কাঁপছিল। তাৎক্ষণিক কি করবো বুঝেই উঠতে পারছিলাম না।

বাংলানিউজ-ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি জাতীয় উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা সম্পর্কে রাইসুল বলেন, পুরো আয়োজনটি খুবই গোছানো ছিল। সুন্দর হয়েছে। শিক্ষক ও সাধারণ দর্শনার্থীরা আমাদের প্রকল্পটি দেখে খুব মজাও পাচ্ছিলেন। যা দেখে আমাদের খুব ভালো লেগেছে। এমন আয়োজন আরও বেশি বেশি হলে আমাদের উদ্ভাবনগুলো নিয়ে বাংলাদেশ উন্নত দেশের মতোই এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময় ১৯৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১২

সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।