ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

বাংলানিউজ-আইইউবি জাতীয় উদ্ভাবনী

তরুণদের ভবিষ্যৎ জয়ের প্রত্যয়

শেরিফ আল সায়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০৬, মার্চ ২৪, ২০১২
তরুণদের ভবিষ্যৎ জয়ের প্রত্যয়

ঢাকা : ‘গণিতের সৃষ্টি তারুণ্যের প্রযুক্তি’ স্লোগান নিয়ে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) সম্প্রতি আয়োজন করে জাতীয় উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা ও আন্তঃকলেজ গণিত অলিম্পিয়াড। এ আয়োজনের সহযোগী ছিলেন একঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবক।

তাদের নিয়েই ২৪ মার্চ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউজের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময় সভা ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান।

গত ১৫ মার্চ প্রথমবারের মত জাতীয় পর্যায়ের এমন আয়োজন বাংলানিউজ ও আইইউবির জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবকরা আগামী আয়োজন কিভাবে আরো সুন্দর করা যায় সে বিষয়ে তাদের মতামত ও অভিমত প্রকাশ করেন।  

শুরুতেই জুনায়েদ নাসিম বলেন, ‘প্রথমবারের মত আমি এমন আয়োজনে কাজ করলাম। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা এখানে এসেছে। সাধ্যমত চেষ্টা করেছি তাদের সহযোগিতা করতে। অনেক পরিশ্রম হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এটাও ঠিক যে এই কাজটি আমাদেরই করতে হবে। তাই কোনো কষ্ট অনুভব হয়নি। তবে অনুষ্ঠানের আগে আমাদের কাজে নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছিল। যেটা দেখা গেছে যে, অনুষ্ঠানের দিন নির্দিষ্ট কোনো কাজের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ থাকা হয়নি। ’

কাউসার আহমেদ বলেন, ‘প্রতিটি কাজ আমি এনজয় করেছি। দীর্ঘদিন ধরে আমরা পরিকল্পনা মতো এগিয়েছি। যদিও কিছুটা এলোমেলো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো অতিথিরা বুঝতে পারেনি। সেখানেই আমাদের সফলতা। ’

নাফিস অনিক বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমন আয়োজনের জন্য প্রচুর প্রচার চালানো প্রয়োজন। যেহেতু জাতীয় পর্যায়ের আয়োজন, তাই আমাদের সারাদেশের প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কি করে পৌঁছে দেওয়া যায় সেদিকে আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে। ’

আলোচনার এক পর্যায়ে আসিফ ইসলাম আশীষ বলেন, ‘আমাদের আয়োজনটি অনেক বড় ছিল। আগামী অনুষ্ঠানকে আমরা আরো সুন্দর করতে চাই। ’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলানিউজের হেড অব নিউজ মাহমুদ মেনন, চিফ রিপোর্টার আহমেদ রাজু, ওয়েব ইনচার্জ আবিদুর রহমান রাসেল ও ডেপুটি মার্কেটিং ম্যানেজার সঞ্জয় বিশ্বাস। এছাড়াও উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) শিক্ষক ফাতিমা বিনতে জিয়া ও ইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফেয়ারের বাংলাদেশের প্রতিনিধি সাইদুর রহমান প্রমুখ।

সাইদুর রহমান বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমন আয়োজনে অতিথি হিসেবে আমরা নোবেল বিজয়ীদের আমন্ত্রণ জানাতে পারি। পুরো আয়োজনটি যেহেতু তরুণদের উৎসাহিত করার জন্য সেহেতু দেশের বাইরের নোবেল বিজয়ীদের নিয়ে এলে তাদের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত উপহার দেওয়া যাবে বলে আমার মনে হয়। ’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা প্রতিটি বিভাগে একবার করে করলে ভালো হয়। তাহলে ঢাকার বাইরের থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প উঠে আসবে। অনেকেই আছেন যারা সুযোগের অভাবে এমন আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পারেন না। আমরা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিলে অবশ্যই অনেক ভালো প্রকল্প আসবে। ’

সাইদুর রহমানের সঙ্গে একমত হয়ে বাংলানিউজের হেড অব নিউজ বলেন, ‘ভবিষ্যতে তরুণদের সামনে আমরা নোবেল বিজয়ীদের নিয়ে আসার অবশ্যই চেষ্টা করবো। বড়মাপের অতিথি এলে আমাদের এই আয়োজন অবশ্যই ভিন্নমাত্রা পাবে বলে আমি মনে করি। ’

অন্যদিকে বাংলানিউজের চিফ রিপোর্টার আহমেদ রাজু বলেন, ‘প্রথমবারের মত এ আয়োজনে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও এটি দারুণ সফলতা পেয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে একঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে। ’  

প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে প্রচারণার দিকেও আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দেব। সেজন্য আমাদের এখন থেকেই কাজ শুরু করে করতে হবে। ’

উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী ফাতিমা বিনতে জিয়া বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক ছাড়া কোনো কিছুই করা সম্ভব ছিল না। এবছর আমরা কাজ করতে গিয়ে যেসব প্রতিবন্ধকতা পেয়েছি সেগুলো কাটিয়ে আগামীতে আরো সুন্দর ও বড় অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হবো। ’

সব ধরনের সহযোগিতার জন্য আইইউবির পক্ষ থেকে বাংলানিউজকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান তিনি।

মতবিনিময় শেষে পঞ্চাশজন স্বেচ্ছাসেবকের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৭৪৩ ঘণ্টা, ২৪ মার্চ, ২০১২

সম্পাদনা : জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর/ আহমেদ রাজু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।