ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

এমবাপ্পের ৯৭ সেকেন্ডের জাদুতে ম্যাচে ফিরলো ফ্রান্স

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এমবাপ্পের ৯৭ সেকেন্ডের জাদুতে ম্যাচে ফিরলো ফ্রান্স

দুই গোলে পিছিয়ে থাকা ফ্রান্সকে জাদুকরী পারফরম্যান্সে সমতায় ফেরালেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। অধিকাংশ সময় যাকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না, সেই তিনিই কিনা ম্যাচের শেষদিকে এসে করলেন জোড়া গোল! প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমালেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।

এর এক মিনিট পরেই জোড়া গোল পূর্ণ করলেন তিনি। আর তাতে সমতায় ফিরল ফরাসিরা।

৬৭ মিনিট পর্যন্ত ফ্রান্স আর্জেন্টিনার গোলমুখে শট নিতেই পারেনি। এরপর দুটি প্রচেষ্টা থেকেই গোল আদায় করে নিল তারা। আর দুটি গোলই এলো এমবাপ্পের পা থেকে। ৮০তম মিনিটে ফ্রান্সের কোলো মুয়ানিকে নিজেদের বক্সে ফেলে দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর থেকে বুলেটগতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন পিএসজি তারকা।

প্রথম গোলটি করে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে ১০ গোলের মালিক বনে যান এমবাপ্পে (২৩ বছর ৩৬৩ দিন)। আগের রেকর্ড জার্মান কিংবদন্তি গার্ড মুলারের (২৪ বছর ২২৬ দিন)।  

এক মিনিট পর মাঝমাঠ থেকে কোমানের বাড়ানো বল ধরে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। থুরামের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে দুর্দান্ত ভলিতে বল জড়িয়ে দেন তিনি। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস ঝাঁপিয়ে পড়লেও তার হাতে লেগে বল জালে ঠিকানায় পৌঁছে যায়। আর তাতে ফ্রান্স যেমন সমতায় ফেরে, ২০০২ বিশ্বকাপ ব্রাজিলের রোনালদোর করা কীর্তিও ছুঁয়ে ফেলেন এমবাপ্পে অর্থাৎ বিশ্বকাপ ফাইনালে জোড়া গোলের কীর্তিতে রোনালদোর সঙ্গী এখন ফরাসি তারকা।  

এর আগে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে আজ লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে আর্জেন্টিনা। একটি করে গোল করেন মেসি ও দি মারিয়া।

এর আগে প্রথমার্ধে দারুণ সব আক্রমণে ফ্রান্সের রক্ষণভাগের পরীক্ষা নিচ্ছিল আর্জেন্টিনা। ২১তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে আলভারেসের পাওয়া বল বক্স থেকে বাইলাইন দিয়ে শট নিতে যাওয়ার মুহূর্তে ওসমান দেম্বেলের ফাউলের শিকার হন দি মারিয়া। তাতেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে আলবেসিলেস্তেদের এগিয়ে নিতে ভুল করেননি লিওনেল মেসি।

৩৬তম মিনিটে উপমেকানোর ভুলে নিজেদের অর্ধে বল পান মেসি। দারুণ দক্ষতায় মাক আলিস্তারকে বল বাড়ান তিনি। টেনে নিয়ে বক্সে আলিস্তার খুঁজে নেন দি মারিয়াকে। দারুণ এক শটে লরিসকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড।  

এরপর ফ্রান্স কয়েকবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সাফল্য পায়নি। বরং প্রথমার্ধে গোলমুখে একটা শটও নিতে পারেনি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ১৯৬৬ এর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমার্ধে কোনো দলের গোলমুখে শট নিতে না পারার এমন ঘটনা এই প্রথম।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।