মানসিক ক্লান্তির কারণে গত মে মাসে জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব ছাড়েন সাফজয়ী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। পরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) তাকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানালেও সিদ্ধান্তে অটল থাকেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ছোটনকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের চিঠি দিয়েছে বাফুফে। চিঠিতে বাফুফে লিখেছে, 'বাংলাদেশের অন্যতম সফল ও সার্থক ফুটবল প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বিগত ২০০৬ সালে ফুটবল প্রশিক্ষক হিসেবে বাফুফেতে যোগদান করেন। তিনি বিগত ২০০৯ সাল হতে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।
গোলাম রব্বানী ছোটনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহিলা জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক ফুটবল দল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ভালো ফলাফলের মাধ্যমে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২। যেখানে আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ’
চিঠিতে বাফুফে আরো জানায়, ‘বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক মহিলা ফুটবল দলের সাম্প্রতিক সাফল্যের পেছনে প্রধান প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী ছোটনের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ ফুটবল দলের মো. গোলাম রব্বানী ছোটনের উত্তরোত্তর সাফল্য ও ভবিষ্যৎ কামনা করছে। ’
প্রায় এক দশক নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করছেন ছোটন। জাতীয় দলসহ, অনূর্ধ্ব সব দলকেই তিনি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে গত মে মাসে ছোটন বলেছেন, ‘গত কয়েক বছর অসম্ভব পরিশ্রম করেছি। সেই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েকটি দলকে পর্যায়ক্রমে অনুশীলন করিয়েছি। শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকে আমার বিশ্রাম দরকার। এখন বয়সও হয়েছে। পরিবারকেও সময় দেওয়া দরকার। তাই বাফুফের দায়িত্ব ছাড়তে চাই। ’
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নারী দলের দায়িত্ব সামলেছেন ছোটন। ২০১৭ সাল থেকে বয়সভিত্তিক সাফের বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে ফাইনালে নিয়ে গেছেন দলকে। ২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫, ২০১৮ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮, ২০২১ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া তার অধীনে সর্বশেষ নারী সাফ জিতেছেন সাবিনারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৩
এআর/এমএইচএম