ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ইকবালের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ইকবালের

এবারের লিগে করেছেন ৫ গোল। গোলে সহায়তা করেছেন সমান সংখ্যক।

এবার জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর তরুণ মিডফিল্ডার ইকবাল হোসেন ইয়ার। সদ্যই ভারত থেকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সাফের দলে ডাক পাননি ইকবাল। তবে সামনে জাতীয় দলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলা রয়েছে। সাফে সুযোগ না পেলেও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী ২৬ বছর বয়সী এ ফুটবলার।  

ঘরোয়া ফুটবলের পারফরম্যান্স দিয়ে আশাবাদী এই ফুটবলার। এবারের লিগে বড় বড় ক্লাবগুলোর বিপক্ষে মিডফিল্ডার হয়েও গোল আদায় করে নিয়েছেন ইকবাল।  এ ব্যাপারে ইকবালের বলেন, ‘এই মৌসুমে একজন মিডফিল্ডার হয়েও আমি যে পারফরম্যান্স করেছি, সেই পারফরম্যান্সকে আমলে নিলে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার যোগ্য দাবিদার ছিলাম। অথচ সাফের দলে আমাকে ডাকা হলো না। তবে আমি হতাশ নই। সামনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব আছে। সেখানে নিশ্চয়ই আমাকে ডাকা হবে। ’

খুব বেশিদিন হয়নি ঢাকায় পেশাদার ফুটবলে খেলছেন ইকবাল। ২০১৭-১৮ মৌসুমে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (বিসিএল) অগ্রণী ব্যাংক ক্লাবে খেলার মধ্য দিয়ে তার যাত্রা। পরের বছর কোনো লিগেই অংশ নেননি। এরপর বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব ও ফর্টিস এফসির হয়ে বিসিএলে খেলে গত ২০২১-২২ মৌসুমে প্রথমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান। প্রথম ক্লাব ছিল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। ওই ক্লাবের জার্সিতে দুই গোল করার সুবাদে চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার সাবেক তারকা ফুটবলার আরমান আজিজের নজরে পড়েন। পরে আরমানের হাত ধরে ২০২২-২৩ মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনীতে নোঙ্গর গাড়েন ইকবাল।

ঢাকায় আসার আগে নিজ জেলা সিলেটের গোলাপগঞ্জের স্থানীয় ক্লাবগুলোতে খেলতেন। ২০১৬ সালে সিলেটে প্রিমিয়ার লিগ চলাকালীন ঢাকার কোচ রাজ্জাকের নজরে পড়েন। ইকবালের প্রিয় কোচ রাজ্জাকের হাত ধরেই মূলত ঢাকায় আসেন, সুযোগ পান বিসিএলের ক্লাব অগ্রণী ব্যাংকে।  

সেই থেকে ইকবালের ঢাকায় ফুটবলে পথচলা। এর আগে এলাকায় যখন খেলতেন তখন এলাকার বড় ভাই রিপন নানানভাবে তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। পরিবারের সমর্থন পেলেও রিপন না থাকলে ফুটবলে টিকে থাকাটা ইকবালের জন্য কঠিনই ছিল। বাবাহারা পরিবারে মা, তিন ভাই এবং এক বোন রয়েছে ইকবালের। সবাই মিলে সুখী পরিবার। ফুটবলে হাঁটি হাঁটি পা পা করে সামনে এগিয়ে চলেছেন। এখন ইকবালের একটাই লক্ষ্য জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো। এর জন্য কঠোর পরিশ্রমে বদ্ধপরিকর তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
এআর/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।