দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবল চায়, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপে ৬৪টি দল অংশ নিক। তবে এই প্রস্তাব ভালোভাবে নেয়নি অন্যান্য মহাদেশের ফুটবল সংস্থাগুলো।
উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনকাকাফের সভাপতি ভিক্টর মন্তাগ্লিয়ানি স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, “পুরুষদের বিশ্বকাপে দল সংখ্যা ৬৪-তে বাড়ানো ফুটবলের জন্য মোটেই ভালো সিদ্ধান্ত হবে না—না জাতীয় দলের জন্য, না ক্লাব ফুটবলের জন্য, না লিগ কিংবা খেলোয়াড়দের জন্য। ”
তিনি আরও বলেন, “৪৮ দলের নতুন ফরম্যাট এখনো শুরুই হয়নি। তার আগে ৬৪ দলের কথা তোলা ঠিক নয়। ”
২০৩০ বিশ্বকাপের মূল আয়োজক দেশ স্পেন, পর্তুগাল এবং মরক্কো। তবে বিশ্বকাপের ১০০ বছর পূর্তির কারণে প্রথম কয়েকটি ম্যাচ আয়োজন করা হবে আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতে—বিশেষ সম্মাননা স্বরূপ।
এর আগে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার ৩২ দলের বদলে ৪৮ দল অংশ নেবে। এই আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে।
কনমেবলের প্রস্তাব অনুযায়ী, যদি ২০৩০ বিশ্বকাপে ৬৪টি দল অংশ নেয়, তাহলে পুরো টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে ১২৮টি, যা আগের ৬৪ ম্যাচের দ্বিগুণ।
এই বিষয়টি নিয়েও অনেকেই উদ্বিগ্ন।
উয়েফা সভাপতি আলেকজান্ডার সেফেরিন এরইমধ্যে প্রস্তাবটিকে “একেবারেই খারাপ ধারণা” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এএফসি সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল-খলিফা বলেছেন, “যদি এখনই সীমা না টানা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কেউ ১৩২ দলের প্রস্তাবও দিতে পারে। তখন বিষয়টা একেবারে বিশৃঙ্খলায় পরিণত হবে। ”
আগামী ১৫ মে, প্যারাগুয়ের আসুনসিওনে ফিফার ৭৫তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই কনমেবলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, ২০৩০ বিশ্বকাপে ৬৪ দলের ভাবনা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে না। বরং ফুটবলের শীর্ষ সংস্থাগুলোর মধ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতাই এখন বড় বার্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৫
এমএইচএম