১২ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প শেষে বাহরাইন সফর শেষ করে আগামীকাল দেশে ফিরছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় ফুটবল দল। কোচ সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা এই সফরে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে স্বাগতিক বাহরাইনের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে।
প্রথম ম্যাচে লাল-সবুজরা হারে ১-০ গোলে। দ্বিতীয় ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে হারে দলটি। যদিও ফলাফলের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে দলগত সমন্বয় ও সব খেলোয়াড়কে পরখ করার সুযোগ।
সহকারী কোচ হাসান আল মামুন জানিয়েছেন, ‘সব খেলোয়াড়কে আমরা মাঠে নামানোর চেষ্টা করেছি। টিম স্পিরিট দারুণ ছিল। এখন আমরা সেরা কম্বিনেশনের কাছাকাছি। ’
শেষ দিন স্থানীয় কোনো ক্লাব দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও প্রতিপক্ষ না পাওয়ায় নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে ম্যাচ খেলেছে আল-আমিন, শেখ মোরছালিনরা।
ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু সফরটিকে মূল্যবান অভিজ্ঞতা বলেছেন। তার ভাষায়, ‘প্রথম ম্যাচের তুলনায় দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা অনেক ভালো খেলেছি। কোচরা পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিচ্ছেন, আমরা সেগুলো শিখছি। ’
দেশে ফিরে দল ঢাকায় আরও দুই দিন অনুশীলন করবে। এরপর ২৯ আগস্ট ভিয়েতনামে যাবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। আগামী মাসেই বসছে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব।
বাংলাদেশ পড়েছে গ্রুপ ‘সি’-তে। প্রতিপক্ষ ভিয়েতনাম, ইয়েমেন ও সিঙ্গাপুর।
৩ সেপ্টেম্বর: ভিয়েতনামের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ
৬ সেপ্টেম্বর: ইয়েমেনের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ
৯ সেপ্টেম্বর: সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ
এবারই প্রথমবারের মতো ছেলেদের অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে বিদেশে ক্যাম্প করিয়েছে বাফুফে। এর আগে মেয়েদের সিনিয়র ও অনূর্ধ্ব-২০ দল এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে। এবার একই পথে ছেলেদের দলকেও এগিয়ে নিতে চায় ফেডারেশন।
সহকারী কোচ হাসান আল মামুন আরও বলেন, ‘বাহরাইনে মাঠ, হোটেল, ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি—সবকিছুই ছিল চমৎকার। খেলোয়াড়রা খুব মনোযোগী ছিল। সবাই শতভাগ দিয়েছে। এই আত্মবিশ্বাস ভিয়েতনামে আমাদের কাজে আসবে। ’
বাছাইপর্ব থেকে ১১টি গ্রুপের সেরা দল ও সেরা চার রানার্সআপ মিলে ২০২৬ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য মূলপর্বে খেলবে। স্বাগতিক সৌদি আরব সরাসরি খেলবে মূলপর্বে।
এআর/এমএইচএম