বাংলাদেশজুড়ে নতুন করে ফুটবলের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয়োজন করছে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। ‘তারুণ্য উৎসব’-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত এই আসরে অংশ নেবে দেশের ৬৪ জেলা।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় আসরের বিস্তারিত তথ্য।
সরকার প্রথম ধাপে ইতোমধ্যে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। শিগগিরই দ্বিতীয় কিস্তিতে আরও ৫ কোটি টাকা আসবে। বাকি ৮ কোটি টাকা ব্যয়ভার বহন করবে বাফুফে। এ বাজেট তিন আসর আয়োজনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩০ আগস্ট মুন্সিগঞ্জে স্বাগতিক জেলা বনাম জামালপুর ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের। প্রাথমিক রাউন্ডে ৬৪ জেলা আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে, প্রতিটি গ্রুপের নামকরণ করা হয়েছে জুলাই শহীদদের নামে।
প্রথম দুই ধাপ হবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। সেখান থেকে ৬৪ দল কমে হবে ৩২, এরপর ১৬। শেষ পর্যন্ত নকআউট পর্বে সেমিফাইনাল শেষে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় স্টেডিয়ামে। ফাইনালে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা।
টুর্নামেন্ট আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী (হ্যাপি) বলেন, ‘এই আসর দেশব্যাপী নতুন করে ফুটবলের আবহ তৈরি করবে। সিনিয়র ফুটবল লিগের পাশাপাশি আমরা অনূর্ধ্ব-১৭ পুরুষ ও নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের প্রস্তুতিও নিচ্ছি। এতে তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। ’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব-উল-আলম। তিনি বলেন, ‘ফুটবল এমন এক খেলা যা দ্রুত মানুষের মনে জায়গা করে নেয়। গত বছর তারুণ্যের উৎসব ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এবারও আমরা আশাবাদী, ৬৪ জেলার তরুণদের অংশগ্রহণে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ফুটবল নিয়ে নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়বে। ‘
তিনি আরও জানান, তারুণ্য উৎসবের আওতায় শুধু ফুটবল নয়, অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশনকেও সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
বাফুফের আশা, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ শুধু একটি প্রতিযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এখান থেকেই উঠে আসবে আগামী দিনের জাতীয় দল গড়ার মতো প্রতিভাবান ফুটবলাররা।
এআর/এমএইচএম