ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

পাঁচ কারণে বিশ্বকাপ জিতবে আর্জেন্টিনা

নুরুজ্জামান ফারাবি, ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৪
পাঁচ কারণে বিশ্বকাপ জিতবে আর্জেন্টিনা

ঢাকা: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। দীর্ঘ এক মাসের ইতি টানবে কে? কে জিতবে ব্রাজিল বিশ্বকাপ? এমন প্রশ্ন সবার মনে।

আর্জেন্টিনা ও জার্মানির মধ্যে কে সেরা? সকল সূত্রের খতিয়ান মিলিয়ে দেখলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।

তবে সকল প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে মারাকানা স্টেডিয়ামে। রাত একটায় শুরু হতে যাওয়া ফাইনাল ম্যাচে পাঁচ কারণে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে রাখা যায়। যদিও শক্তির দিক থেকে জার্মানিও কম না। নিজেদের সেরা খেলাটুকু দেখিয়ে দিয়েছে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে।

১৯৮৬ সালে মেক্সিকোতে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। পরের আসরে প্রতিশোধ নেয় জার্মানি। ১৯৯০ সালে ইতালিতে ১-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা।   

পাঁচটি কারণঃ

১। লিওনেল মেসি:
আর্জেন্টিনা দলের মূল শক্তি লিওনেল মেসি। জাতীয় দলের হয়ে যতগুলো ম্যাচ খেলেছেন তার চেয়ে বেশি খেলেছেন বার্সেলোনায়। আর ২০০৬ সালে বিশ্বকাপে খেলতে নেমে আলোড়ন ফেলে দেন মেসি। এরপর ২০১০ সালে ছিলেন ব্যর্থ। এখন তার বয়স ২৭ বছর। বিশ্বের যত বড় বড় তারকা ফুটবলাররা বিশ্বকাপ জিতেছেন তাদের বয়স ২৫-৩০ বছর ছিল। আর এই বিশ্বকাপে নিজে না যতটা খেলেছেন তার চেয়ে বেশি অন্যদের সহায়তা করেছেন। এটাই তার জন্য সেরা সময় বিশ্বকাপ জেতার, নিজেকে বিশ্ব সেরা প্রমান করার।

২। শক্তিশালী ব্যাকলাইন:
বরাবরই দুর্বল ডিফেন্স নিয়ে বিশ্বকাপে আসে আর্জেন্টিনা। কিন্তু এবার তারা অন্যবারের চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম। তার প্রমান মাঠে দিয়েছে। এ আসরে সবচেয়ে কম গোল খেলেছে আর্জেন্টিনা। সার্জিও রোমেরোকে ফাঁকি দিয়ে মাত্র তিন গোল জালে গিয়েছে। অটল পাহাড়ের মত দাঁড়িয়ে থাকেন জাভিয়ার মাসচেরানো, এজেকুয়েল গ্যারি, এনজো পেরেজ ও লুকাস বিগলিয়া। জার্মানির শক্তিশালী আক্রমনভাগকে প্রতিহত করার জন্য রয়েছেন তারা।

৩। অপরাজিত শক্তি ও ভাগ্য:
বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচে জয় নিয়ে ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। এ পর্যন্ত কোন ম্যাচে হার বা ড্র করতে হয়নি তাদের। গ্রুপ পর্বে নাইজেরিয়ার সঙ্গে ৩-২ গোলে ম্যাচ শেষ করে তারা। একটু বেশি ভুল হলে ম্যাচ ড্র হতে পারতো। ইরানের সঙ্গে অতিরিক্ত সময়ে গোল দেয় মেসি। সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে অতিরিক্ত সময়ের ১১৮ মিনিটে গোল দেয় ডি মারিয়া। ভাগ্যও তাদের সঙ্গে কোন হের-ফের করেনি।

এমনকি সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গোল শূণ্য ড্র হওয়ার পর পেনাল্টিতে জেতে তারা। যেখানে নেদারল্যান্ডস কোস্টারিকা ছাড়া সবদলকে গোল দিয়েছে। এমনকি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ব্রাজিলকে গুনে গুনে তিনটি গোল দিয়েছে।
তাই বলাই যায় জার্মানিদের রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে আর্জেন্টিনা।

৪। সেরারা আছে এই দলে:
চোটের কারণে অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়া দলের বাইরে রয়েছে। তবুও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের কমতি ছিল না। ছিল গোল প্রতিহত করার কৌশল। আক্রমণ ভাগে রয়েছে বিশ্ব সেরা মেসি, গঞ্জালো হিগুয়েন ও সার্জিও আগুয়েরো। গোল কম করলেও প্রতি ম্যাচে জয় এনেছে তারা। আর্জেন্টাইনদের কাছ থেকে বল অন্য কেউ নিয়ে বেশিক্ষণ রাখতে পারেনি। দ্রুতই নিজেদের কাছে বল ফিরিয়ে এনেছে তারা।

৫। সঠিক কাজটি করেন স্যাবেলা:
কোন কাজটি কখন করতে হবে সেটা খুব ভালো মত করেছেন আর্জেন্টাইন কোচ আলেসান্দ্রো স্যাবেলা। শেষ ম্যাচে কোন পরিবর্তন রাখছেন না স্যাবেলা। ম্যারাডোনা ও রিকার্ডো বাতিস্তার চলে যাওয়ার পর কেউ আর আর্জেন্টিনার মর্যাদা উঁচু করতে পারেনি। আর এই বিশ্বকাপে প্লেয়ারদের কাকে কোথায় খেলাতে হবে, কাকে কখন ওঠাতে হবে বা নামাতে হবে সেটা সুকৌশলে করেছেন স্যাবেলা। অন্য কোচদের মত সাইড লাইনে বসে থাকেন না তিনি। সাইড লাইন থেকে সব সময় ফুটবলারদের নিদের্শনা দিয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ১৩ জুলাই ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।