ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

বিশ্বকাপ উন্মাদনায় মেতে ছিলো টিএসসি

শাহজাহান মোল্লা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৪
বিশ্বকাপ উন্মাদনায় মেতে ছিলো টিএসসি

ঢাকা: ২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে একত্রিত হয়েছিলো হাজারো তরুণ-তরুণী। রাত জেগে প্রিয় দলের খেলা উপভোগ করার পাশাপাশি আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছিলো ফুটপ্রেমী বাঙলি।



নিজের পছন্দের দলকে উৎসাহ যোগাতে গায়ে পতাকা মুখে দলীয় পতাকা এঁকে নানা ঢঙে সেজেছিলো ফুটবলপ্রেমীরা। খেলাচলাকালীন প্রতিটি মুহূর্ত ছিলো ভুভুজেলা বাঁশির সুর আর ঢোলের বাজনা।

শুধুমাত্র টিএসসি চত্বরেই নয়। এমন দৃশ্য শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতেই ছিলো।

খেলায় জিতে জার্মানি বিশ্বকাপ ঘরে নেওয়ায় সেই দলের সমর্থকরা যেমন উচ্ছসিত ছিলো। তেমনি দারুণ খেলার পরেও বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে না পারায় হতাশ ছিলো আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মধ্যে।

অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে ক্লোসার বদলী খেলতে নামা মারিও গোৎজের একমাত্র গোলে চতুর্থবারের মতো স্বপ্নের বিশ্বকাপ জয় করে জার্মানি। খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো শাহাবাগ এলাকায় সৃষ্টি হয় উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে। জার্মানির সমর্থকরা নেচে গেয়ে নিজ দলের খেলা উপভোগ করেন।

তবে আনন্দের পাশাপাশি বিশাদও কম ছিলো না। রবিউল (২৩) নামের এক আর্জেন্টাইন সমর্থক নিজের পছন্দের দল বিশ্বকাপে পরাজয় বরণ করায় কান্নায় ভেঙে পরেন।

তিনি বলেন, আমরা ভালো খেলেও কাপ নিতে পারলাম না। ওরা কতগুলো ফাউল করলো রেফরি তা চোখে দেখলো না। আমরা আর এতো বড় সুযোগ পাবো না। অনেক দিন পর ফাইনালে এসেও হেরে গেলাম।

টিএসসি চত্বরে দু’টি প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় বিশ্বাকাপের ফাইনাল খেলা দেখানো হয়। এছাড়া শাহাবাগে একটি, কাওরান বাজারে একটিসহ অধিকাংশ সড়কেই ছিলো বিশেষ প্রজেক্টরের মাধ্যমে খেলা দেখার সুযোগ। এই সুযোগ নিতে ভুল করেননি নগরবাসী। মধ্য রাতেই ঢাকা শহর যেন পরিণত হয় ব্রাজিলের মায়াকানায়। হাজার মাইল দূরে খেলা হলেও উন্মাদনার কমতি ছিলো না বাঙালি সমর্থকদের।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।