ঢাকা: রোনালদোর জিদান স্তুতি নতুন কিছু নয়। ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তিকে এবার প্রশংসার জোয়ারেই ভাসিয়েছেন ইউরো জয়ী পর্তুগিজ আইকন।
লা লিগায় এরই মধ্যে টানা ১৩ ম্যাচে (২০১৪-১৫ মৌসুমসহ) জয়ের ধারায় রিয়াল মাদ্রিদ। যার পুরো কৃতিত্বই জিনেদিন জিদানকে দিচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ বছরের শুরুতেই গ্যালাকটিকোদের কোচ পদে রাফায়েল বেনিতেজের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ‘জিজু’।
দায়িত্ব নিয়েই ‘জাদুকরি স্পর্শে’ রিয়ালকে স্বরূপে ফেরান জিদান। টানা ১২ ম্যাচ জিতে বার্সেলোনার সঙ্গে এক পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে ঘরোয়া লিগ মৌসুম শেষ করে লস ব্লাঙ্কসরা। অন্যদিকে, ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে তিন বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা উল্লাসে মাতে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। রিয়ালের খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন লিগ জয়ের কীর্তিতে নাম লেখান জিদান।
ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ২০১৬ সালটা রোনালদোর কাছে অবিস্মরণীয় হয়েই থাকবে। তার হাত ধরেই ইউরো জিতে প্রথমবারের মতো বড় কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ পায় পর্তুগাল। ইউরোপে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়েও ফেভারিট তিনবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। তিনজনের চূড়ান্ত তালিকার বাকি দু’জন রোনালদোর ক্লাব সতীর্থ গ্যারেথ বেল ও ইউরোর রানার্সআপ ফ্রান্সের অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান।
এক সাক্ষাৎকারে গত মৌসুমে নিজের সাফল্যের পেছনে জিদানের কোচ হিসেবে আবির্ভাবের কথাই তুলে ধরেন রোনালদো, ‘আমরা গত মৌসুমের শুরুটা ভালো করতে পারিনি। কিন্তু শেষটা ছিল আনন্দের। আমি মনে করি, জিদান আসার পরেই সবকিছুতে উন্নতি হয়েছে। আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছি এবং আমি টপ স্কোরার ছিলাম। ’
‘সম্ভবত এটাই আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মৌসুম ছিল। শুধু আমার ট্রফিগুলোর দিকে তাকালেই স্পষ্ট, নিশ্চিতভাবেই এটা ছিল আমার সেরা মৌসুম। পর্তুগালের হয়ে ইউরোও জিতেছি, যা আমার কাছে অসাধারণ সাফল্য। ’-যোগ করেন ৩১ বছর বয়সী রোনালদো।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
এমআরএম