ইতোমধ্যেই ইউরোপের ছয়টি মেজর লিগের ২০১৬-১৭ মৌসুম শেষ হয়েছে। স্পেন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও পর্তুগাল।
স্প্যানিশ লিগে ৩৭টি গোল করে ‘পিচিচি’ ট্রফি পুনরুদ্ধার করেছেন মেসি। একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান লিগ ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বুট’ এবার বার্সেলোনা আইকনের দখলে। কিন্তু, দলকে লিগ জেতাতে না পারার আক্ষেপটা থেকে যাচ্ছে!
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে একক নৈপুণ্যে স্মরণীয় একটি মৌসুম পার করেন হ্যারি কেন। রোমেলু লুকাকু (২৫) ও চ্যাম্পিয়ন চেলসির দিয়েগো কস্তাকে (২৫) ছাড়িয়ে যান। প্রতিপক্ষের জালে ২৯ বার বল পাঠান এ ইংলিশ ফরোয়ার্ড। চলতি মাসেই করেন ৮ গোল। অতীতে এক মাসে এর চেয়ে বেশির গোলের কীর্তি দেখিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ (১০টি) চার বছর আগে লিভারপুলে থাকাকালে। দ্বিতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছে কেনের দল টটেনহাম।
জার্মানির বুন্দেসলিগায় ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে করা দিয়েতের মুলারের ৩১ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেন বুরশিয়া ডর্টমুন্ডের পিয়েরে এমেরিক উবামেয়াং। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিগ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ ‘গোলমেশিন’ রবার্ট লেভানডফস্কি (৩০)।
ইতালির সিরি আ লিগে আলো ছড়ান ৩১ বছর বয়সী এডেন জেকো। ২৯টি গোল নিয়ে টপস্কোরারের আসনে বসেন। পেশাদার ফুটবলে আসার পর এটিই রোমা স্ট্রাইকারের সেরা মৌসুম। আগের সেরা অর্জন উলফসবার্গের জার্সিতে (২৬ গোল, ২০০৮-০৯)।
ফ্রেঞ্চ লিগে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের বিদায়ের পর পিএসজির আক্রমণভাগের মূল তারকা এডিনসন কাভানি। ৩৫টি গোল করে প্রত্যাশার প্রতিদান দিয়েছেন উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। কিন্তু, লিগ শিরোপাটা হাতছাড়া হয়েছে। যেটি গেছে মোনাকোর দখলে।
পর্তুগিজ লিগে নিজের প্রথম মৌসুমেই বাজিমাত করেন বাস দোস্ত। স্পোর্টিং লিসবনের জার্সিতে ৩১ ম্যাচে ৩৪ গোল করে মেসির কাছাকাছি চলে আসেন ডাচ স্ট্রাইকার। কিন্তু, তার দল দ্বিতীয় স্থানে মৌসুম শেষ করেছে। শিরোপা জিতেছে বেনফিকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ৩১ মে, ২০১৭
এমআরএম