ইউনাইটেডের মতো পিএসজির বাঁধন থেকেও নিজেকে মুক্ত করে নিতে চলেছেন ডি মারিয়া। ফুটবলের ট্রান্সফার ফি নিয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।
২০১৪ সালে রিয়াল থেকে ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি’র নতুন রেকর্ড গড়ে ডি মারিয়াকে নেওয়ার সময় ঐ চুক্তিতে রিয়াল জুড়ে দিয়েছিল কিছু শর্ত! সেই চুক্তিতে ভবিষ্যতে কোনভাবেই যেন ডি মারিয়া বার্সেলোনা শিবিরে যোগ দিতে না পারেন সে ব্যবস্থাই করে রেখেছিল রিয়াল। কারণ ডি মারিয়াকে নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল বার্সা।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ২০১৫ সালের গ্রীষ্মের দলবদলের আগেই ডি মারিয়াকে লা লিগার অন্য কোনো দলের কাছে বিক্রি করলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ কোটি ইউরো দিতে হতো রিয়ালকে। ২০১৬ ও ২০১৭ মৌসুমে বার্সার কাছে ডি মারিয়াকে বদলি করলে যথাক্রমে ৪ কোটি ও ৩ কোটি ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতে হতো। এরপরও যাতে ডি মারিয়া বার্সায় যেতে না পারেন সে ব্যবস্থাও করা ছিল ঐ চুক্তিতে। ২০১৭ সালের পরও যেকোনো মৌসুমে ডি মারিয়া ইউনাইটেড থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিলে অর্থদন্ড গুনতে হতো ৩ কোটি ইউরো করেই। কিন্তু, ওল্ড ট্রাফোর্ডে এক মৌসুম কাটিয়ে ডি মারিয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে পিএসজিতে যোগ দেয়ায় অবশ্য এসব উটকো ঝামেলা থেকে রেহাই পেয়েছে ইউনাইটেড। শুধু ডি মারিয়াই নন, ২০১৩ সালে মেসুত ওজিলকে আর্সেনালে পাঠানোর সময়ও প্রায় একই রকম ‘বার্সা বিরোধী’ শর্ত জুড়ে দিয়েছিল রিয়াল।
তখনকার সময়ে পুরোপুরি ‘স্বত্ব’ ত্যাগ না করা রিয়ালকে এবার হয়তো বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে যাচ্ছেন ডি মারিয়া। ইউনাইটেড আর পিএসজির কোচদের সঙ্গে একাধিকবার তার দ্বন্দ্বের কথা জানাই আছে। তাহলে কি ইচ্ছে করেই ক্লাব কোচদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াতেন আর্জেন্টাইন এই তারকা? শুধুমাত্র বার্সায় খেলার জন্যই কি ডি মারিয়া ক্লাব দুটিকে ব্যবহার করেছেন?
এসব কিছুর উত্তর মিলবে যদি ডি মারিয়া এই মৌসুমে বার্সায় যোগ দেন। আর গুঞ্জন উঠেছে অস্থিরতায় দিন কাটানো ডি মারিয়া স্বদেশী লিওনেল মেসির ইচ্ছেতেই বার্সাতে আসছেন। সেক্ষেত্রে বার্সা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে আরদা তুরানকে। নয়তো রাফিনহা আলকান্ত্রাকে বিক্রি করে দেওয়া হবে আগ্রহ দেখানো লিভারপুল, জুভেন্টাস, রোমা কিংবা আর্সেনালে। সেটিও পানির দরে!
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ০৫ জুন ২০১৭
এমআরপি