এবার পিএসজির সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করলেন রিও অলিম্পিক হিরো। ক্লাবটি বলছে, তাদের সঙ্গে করা ২৫ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফুটবল বিস্ময়ের যে চুক্তিটা সম্পন্ন হয়েছে তার মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত।
এই টাকায় আর কি কি করা যেত তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফুটবলের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’সহ ইউরোপের একাধিক গণমাধ্যম। তাদের মতে, নেইমারের চুক্তির এই অর্থ দিয়ে তৈরি করা যেত ব্যবসাসফল হলিউডের কোনো সিনেমা। হলিউডের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘সুপারম্যান রিটার্নস’ তৈরিতে খরচ হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন ইউরো। যা নেইমারের চুক্তির অর্থের কাছাকাছি। তাছাড়া, নেইমারের ট্রান্সফার ফি দিয়ে তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৭০০ যাত্রীবাহী বিমান কেনা সম্ভব। কেনা যেত এয়ারবাস এসিজেড ৩১৯ জেট বিমান।
নেইমারের বেতনের টাকা দিয়ে তৈরি করা যেত লা লিগার কোনো স্টেডিয়াম। অ্যাতলেতিকো বিলবাওয়ের নতুন তৈরি করা ৫৩ হাজার ২৮৯ জন দর্শক ধারনক্ষমতা সম্পন্ন সান মামেস স্টেডিয়ামটি তৈরিতে খরচ হয়েছে মাত্র ১৮০ মিলিয়ন ইউরো! শুধু স্টেডিয়াম তৈরিই নয়, নেইমারকে দেওয়া টাকায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটসের বাড়ির মতো দুটো বাড়ি কেনা যেত। বিল গেটস তার বানাতে খরচ করেছিলেন ১২৫.৫ মিলিয়ন ডলার। এমন দুটো বাড়ি কেনার পরও কিছু টাকা অবশিষ্ট থাকবে।
নেইমারের বেতন দিয়ে আমেরিকান এনবিএ চ্যাম্পিয়নশিপের কোনো দল কেনা যেত। গোল্ডেন এস্টেট ওয়ারিয়র্সের মতো বিশ্বসেরা দলের পুরো স্টাফের বেতন যেখানে মাত্র ১৩৫ মিলিয়ন ইউরো। ফর্মুলা ওয়ানের (রেসিং) কোনো দলের বাজেটও নেইমারের বেতনের কাছে কিছুই না। ‘টোরো রোসো’ রেসিং দলটির বাজেট মাত্র ১২৪ মিলিয়ন ইউরো! স্কটল্যান্ডের শেটল্যান্ডের উপকূলের একটি দ্বীপের দাম মাত্র আড়াই লাখ পাউন্ড। নেইমারের দামে ৬০ একরের বেশি এমন দ্বীপ প্রায় ৮০০ বার কেনা সম্ভব।
ইতোমধ্যেই বার্সার সতীর্থদের ‘গুডবাই’ বলে দিয়েছেন নেইমার। পিএসজিতে নিঃসন্দেহে টিমের সেরা তারকা হবেন তিনি এবং ক্লাবের লক্ষ্যমূলেও থাকবেন কেন্দ্রবিন্দুতে। শুধুমাত্র মেসির ছায়া হয়ে ছিলেন তা নয়, রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পেছনেও থাকতে হচ্ছিল নেইমারকে। ২০১৫ ফিফা ব্যালন ডি’অরে মেসি-রোনালদোর পর তৃতীয় স্থানে ছিলেন। পিএসজিতে থেকেই আগামীতে স্বপ্নের ব্যালন ডি’অর (বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি) জিততে চান নেইমার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ০৪ আগস্ট ২০১৭
এমআরপি