ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ম্যানইউকে কখনোই ভুলবো না: রোনালদো

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৭
ম্যানইউকে কখনোই ভুলবো না: রোনালদো ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রত্যাবর্তনের গুঞ্জন ছড়ালেও রিয়াল মাদ্রিদে ভালো আছেন বলে স্পষ্ট করেছেন ৩২ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু এখনো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হৃদয়ে ধারণ করেন বলেও জানিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।

রোনালদো জোর দিয়েই বলছেন, ম্যানইউতে থাকার সময়টা তিনি কখনোই ভুলবেন না। তবে অদূর ভবিষ্যতে সাবেক ক্লাবে ফেরার কোনো ইঙ্গিত দেননি।

যেখানে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে ছয়টি সফল মৌসুম পার করেছিলেন। তিনটি প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করেন। এখানে থেকেই ২০০৮ সালে নিজের প্রথম ব্যালন ডি’অর (বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার) ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন।

পরের বছর রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমান সিআর সেভেন। গ্যালাকটিকোদের জার্সিতে ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করেছেন। আরও তিনটি ব্যালন ডি’অর হাতে নেন। পাশাপাশি স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে অনেক শিরোপা জিতেছেন।

সাবেক সতীর্থ রিও ফার্ডিনান্দের সঙ্গে ‘নাইকি ফুটবল’ সাক্ষাৎকারে ম্যানইউ ক্যারিয়ারের সুখস্মৃতি তুলে ধরেন রোনালদো। ওয়ার্ল্ড-ক্লাস সামর্থ্য প্রমাণে সবসময়ই স্পেনে থাকার পরিকল্পনা করার কথাও বলেছেন, ‘অামি কখনোই রেড ডেভিলসদের ভুলবো না। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের কাছাকাছি যেতে ধারাবাহিকভাবে অনেক ভালো কিছু শিখেছি। যদি আপনি একসঙ্গে দু’টি জিনিস করতে পারেন প্রতিভা ও কঠোর পরিশ্রম, একজন বড় মাপের খেলোয়াড় হবেন। আমি এই ভূমিকায় রয়েছি বলে মনে করি। ’

মাদ্রিদে পা রাখার মুহূর্তটা স্মরণ করে রোনালদো বলেন, ‘যখন আমি মাদ্রিদে এসে পৌঁছায় এখানকার পরিবেশ অনুভব করা শুরু করি। আমি ভেবেছিলাম ওইদিনটা একটা গেম ছিল কারণ সব মানুষ শুধুমাত্র আমাকে দেখতে এসেছিলেন। এটা চমৎকার সারপ্রাইস ছিল। ’

‘দিনটি ছিল অবিশ্বাস্য, আমি খুবই গর্বিত ছিলাম। স্পেনের মানুষ কীভাবে ফুটবলে বাস করে তাও অনুভব করেছি, তারা এটাকে ভালোভাসে। একটা অবিস্মরণীয় দিন ছিল। আমি শুধু মনের মধ্যে চিন্তা করেছি নিজের লেভেল দেখাতে, অামি যে একজন ভিন্ন খেলোয়াড় সেটি প্রদর্শন করতে সেখানে যাওয়া দরকার এবং এটিই আমি করেছি। প্রথম সিজন, দ্বিতীয় সিজন চমৎকারভাবে কাটিয়েছি এবং প্রতি মৌসুমেই উন্নতি করেছি। এটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল। ’

১০ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান এমন প্রশ্নে রোনালদো মজা করে বলেন তিনি হয়তো ফার্ডিনান্দের মতো বক্সিং অনুসরণ করবেন, ‘দশ বছর? না, ১০ বছরে এটা কঠিন হবে (আরও ব্যালন ডি’অর জয়)। হয়তো আমি তোমার মতো একজন বক্সার হবো! সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ট্রফি জেতা। আমরা ১০, ১১ মাস পরিশ্রম করি এবং যদি তুমি কিছু জিততে না পারো নিজেকে খালি মনে হবে। তাই আমি ট্রফি জিততে চাই দলগতভাবে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে, কারণ এর জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করছি। ’

মাঠের বাইরের জীবন নিয়ে রোনালদোর ভাষ্য, ‘মাঠের বাইরে পরিবার ও বন্ধুদের কাছে থাকি এবং বিশ্বের সবচেয়ে সুখি মানুষ হয়ে থাকার চেষ্টা করি। ’

২০১৭-১৮ মৌসুমে রিয়াল আইকনের শুরুটা একেবারেই হতাশাজনক। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার কারণে লা লিগায় প্রথম চার ম্যাচে ছিলেন না। ফেরার পর টানা তিন ম্যাচে গোলের দেখাই পাননি। লা লিগা ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম এমন ভুলে থাকার মতো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ৩ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।