নতুন কোচের জন্য ভালো শুরু করাটা বরাবরই কঠিন। ভালভার্ডের বেলায় তাই হয়েছে।
পিএসজির কাছে নেইমারকে হারানোর ধাক্কা সামলে এরপরই স্বরূপে ফেরে বার্সা। ঘরোয়া লিগ ও ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ছন্দময় ফুটবল খেলছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি আছেন ফর্মের তুঙ্গে।
ভালভার্ডের অধীনে এখন পর্যন্ত ১৩টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছে বার্সা। জয়ের হার ৭৭ শতাংশ (১০ জয়, ১ ড্র ও ২ হার)। প্রতিপক্ষের জালে ৩২ বার (পাঁচটি আত্মঘাতি) বল পাঠিয়ে ৯টি হজম করেছে। ১৫ গোল নিয়ে টপস্কোরার মেসি। দ্বিতীয় অবস্থানে লুইস সুয়ারেজ (৩)। দু’বার করে স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন ডেনিস সুয়ারেজ ও সামার সাইনিং পাওলিনহো।
লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলিয়ে নিজেদের সেরা শুরুর একটা রেকর্ড স্পর্শ করেছে বার্সা। ঠিক ২০১৩-১৪ মৌসুমের মতো। এ নিয়ে ৭ বার মৌসুমের প্রথম ৮টি লিগ ম্যাচে অপরাজেয় তারা। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বের প্রথম তিন ম্যাচ জিতে গত মৌসুমের পুনরাবৃত্তি করেছে।
২০ জন খেলোয়াড় ব্যবহার করেছেন বার্সা কোচ। সবচেয়ে বেশি সময় খেলেছেন মেসি ও গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন। (১,১৭০ মিনিট)। ১৩টি ম্যাচেই দেখা গেছে চারজনকে (মেসি, স্টেগেন, সার্জিও বুসকেটস ও ইভান রাকিটিচ)।
মোট ছয়জন নিজেদের সবকটি ম্যাচে শুরুর একাদশে নামেন। ১৩টি ম্যাচেই অটোমেটিক চয়েস মেসি ও স্টেগেন। জেরার্ড পিকে, জর্ডি আলবা ও স্যামুয়েল উমতিতি (১১/১১) ও লুইস সুয়ারেজ নিজের ১০টি ম্যাচেই শুরুতেই মাঠে পা রাখেন। অন্যদিকে মেসি, স্টেগেন ও বুসকেটসের পর সবচেয়ে উপস্থিতির হার উদীয়মান ফ্রেঞ্চ সেন্টারব্যাক উমতিতির (৪০ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ২০ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম