তার ফুটবল শৈলীতে এতোটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে হাতের কাছে থাকা টিস্যু পেপারে করেই প্রাথমিক চুক্তিটা সেরে ফেলেছিলেন। সেই চুক্তিটা আজও অক্ষুণ্ন রয়েছে।
এরপর মাঝে হরমোন জটিলতায় ভুগে নষ্ট হতে বসেছিল ফুটবল ক্যারিয়ার। তার পুরো চিকিৎসা ব্যয় বহন করে বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সুস্থ হয়ে যখন মাঠে ফিরলেন মেসি; বার্সেলানা ‘সি’ দল এরপর ‘বি’ দল হয়ে ২০০৪-০৫ মৌসুসে বার্সেলোনার মূল দলে হয় অভিষেক। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন দলের প্রাণ। ফুটবল জাদুতে মুগ্ধ করেছেন গোটা বিশ্বকে। ১৯ বছর বয়সে জেতেন প্রথম ফিফা বর্সসেরা পুরস্কার। পরপর চারবারসহ মোট পাঁচবার জেতেন ফিফা বর্ষসেরার খেতাব।
ফুটবলের মতো রেকর্ড নিয়ে খেলেন মেসি। এমন কোনো রেকর্ড নেই যা মেসির দখলে নেই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, স্প্যানিশ কোপা ডেল রে, ক্লাব বিশ্বকাপসহ ৩২টি শিরোপা জিতেছেন। এক বছরে ৯১টি গোল করে এক বছরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও মেসির দখলে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ আটটি হ্যাটট্রিক রয়েছে তার। লা লিগায় রেকর্ড ৪০৪টি গোল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৬টি গোল করেছেন লিওনেল মেসি। ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মেসির মোট গোল সংখ্যা ৬৭০টি। আর্জেন্টিনার হয়েও সর্বোচ্চ গোল লিওনেল মেসির।
ফুটবল জাদুতে মুগ্ধ করে রাখা মেসিকে বলা হয় সর্বকালের সেরা ফুটবলার। যদিও তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট বিতর্ক। সেসব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকেই পুরো ফুটবল বিশ্বকে প্রতিনিয়তই বেঁধে রেখেছেন অদৃশ্য এক মায়ায়। সব বিতর্ককে ছাপিয়ে মেসি তার ফুটবল শৈলীকে কতদিন ছড়িয়ে দেবেন সেই উত্তরটা সময়ের কাছেই তোলা থাকলো।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩১ ঘন্টা, ফেব্রয়ারি ১৬, ২০১৯
আরএআর/এমআইএইচ/এসআই