একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মেসি আর রোনালদো দুজনেই আধুনিক ফুটবলের সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকা। কিন্তু এই দুজনের মধ্যে কে সেরা, এমন বিতর্কের কোনো সমাধান প্রায় এক যুগেও করতে পারেননি তাদের ভক্তকুল।
গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে নিজের অবস্থান নিয়ে হতাশ হয়ে জুভেন্টাসে পাড়ি জমান রোনালদো। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর ক্ষোভ ছিল, ক্লাবে তাকে যথাযোগ্য মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বিশেষ করে ফরাসি কোচ জিনেদিন জিদানের বিদায়ের পর থেকেই ক্লাবে নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করে ফেলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। এমনকি জুভেন্টাসে পাড়ি জমানোর পর সাবেক ক্লাব সতীর্থ লুকা মদ্রিচের ব্যালন ডি’অর জয়ের রাতেও অনুষ্ঠানে হাজির হননি তিনি।
মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম, বিশেষ করে মার্কা, প্রায়ই রিয়ালের পক্ষপাতিত্ব করে এবং রোনালদোকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি করতো। কিন্তু হাওয়া উল্টে গেছে। রোনালদো যাওয়ার পর থেকে তারা মেসিকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। সর্বশেষ সেভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করার পর মেসির প্রশংসায় পাতার পর পাতা ভরে ফেলেছে তারা।
‘মেসির পারফরম্যান্স মাদ্রিদকে ভয় পাইয়ে দেবে’ শিরোনামে মার্কা লিখেছে,
‘গোল করায় তার সাফল্য তাকে সপ্তাহের পর সপ্তাহে নতুন নতুন ইতিহাস ভাঙতে ও গড়তে সাহায্য করছে। ’
‘শনিবার সেভিয়ার বিপক্ষে তিন গোল, যার দুটি বাঁ পায়ে আর একটি ডান পায়ে, যা পিচিচি র্যাংকিংয়ে তার শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করেছে। ’
‘চলতি মৌসুমে মাত্র ২৩ ম্যাচে ২৫ গোল, তার পারফরম্যান্স ক্রমেই দুর্বার হয়ে যাচ্ছে। ’
‘স্পেনে কিংবা ইউরোপের অন্য কোথাও কেউ তার ধারেকাছে নেই এবং তার কেউ সমকক্ষও নেই। ’
অর্থাৎ, ফুটবলে মেসি কতটা ভালো তা জানতে চাইলে, উত্তর হচ্ছে তিনি এতোটাই ভালো যে, মানুষকে রোনালদোর কথাও ভুলিয়ে দিতে পারেন।
গত দুই মৌসুমসহ সবমিলিয়ে পাঁচবার ইউরোপীয় ‘গোল্ডেন শু’ জেতার রেকর্ড আছে মেসির ঝুলিতে। এবার তার সামনে সুযোগ আছে এই রেকর্ড আরও একধাপ বাড়িয়ে নেওয়ার। আর এবার জিতলে এই পুরস্কার জয়ের হ্যাটট্রিক হয়ে যাবে তার, যা আর কারো কপালে জোটেনি।
মেসির নামের পাশে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত যুক্ত হয়েছে ২৫ গোল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের ঝুলিতে আছে ২২ গোল আর ক্রিস্টিনায়ো রোনালদো ১৯ গোল নিয়ে আছেন তৃতীয় স্থানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস