শনিবার (২ মার্চ) রাতে কঠিন এক ম্যাচ জিতেছে ম্যানইউ। প্রতিপক্ষ সাউদাম্পটন শেষ পর্যন্ত জেতার জন্য লড়াই করেছে।
গোল করার প্রথম সুযোগটা অবশ্য পেয়েছিল রেড ডেভিলরাই। ম্যাচের ১০ মিনিটে চিলিয়ান ফরোয়ার্ড অ্যালেক্সিস সানচেসকে দুর্দান্ত এক পাস দিয়েছিলেন ইংলিশ তারকা মার্কাস রাশফোর্ড। কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন সফরকারী দলের সেন্টার ব্যাক আঙ্গাস গুন। উল্টো ২৬ মিনিটে চার্লি অস্টিনের পাস থেকে দুর্দান্ত গোল করে সাউদাম্পটনকে এগিয়ে দেন ইয়ান ভ্যালেরি।
গোল খেয়ে শোধ দিতে মরিয়া ম্যানইউয়ের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা বিফল হয় প্রতিপক্ষের রক্ষণে। কিন্তু ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা।
দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয়ভাবে খেলার মোড় ঘুরতে থাকে। নিজেদের খেলার ধরণ অনেকটা পাল্টে ফেলে স্বাগতিকরা। তাতে ফলও আসে। ৫৩তম মিনিটে দিয়াগো দালোতের পাস থেকে গোল করে ম্যানইউকে সমতায় ফেরান আন্দ্রস পেরেইরা।
ছয় মিনিট পর পেরেইরার পাস থেকেই গোল করে দলকে লিড এনে দেন রোমেলু লুকাকু। কিন্তু ৭৫তম মিনিটে ফের সমতায় ফেরে সাউদাম্পটন। পুরো ওল্ড ট্রাফোর্ডকে স্তব্ধ করে দেওয়া গোলটি করেন জেমস প্রাউসি।
সমতায় ফেরার পর থেকেই সফরকারী দলের সমর্থকরা উল্লাসে গান গাওয়া শুরু করে দিয়েছে। তাদের কাছে এই ম্যাচে ড্র মানেই যে জয়। কিন্তু তাদের হৃদয় ভেঙে দিয়ে ৮৯তম মিনিটে গোল করে বসেন লুকাকু।
ম্যানইউয়ের জয়টা অবশ্য আগেই আসতে পারতো, যদি ফরাসি মিডফিল্ডার পল পগবা পেনাল্টি মিস না করতেন। তবে তাদের কপাল ভালো যে ম্যাচ শেষে এজন্য আফসোস করতে হয়নি। বরং ম্যাচ শেষে পুরো ওল্ড ট্রাফোর্ড কোচের নামে তথা ‘ওলে, ওলে, ওলে’ বলে গান কিংবা গগনবিদারী চিৎকার করতে থাকে। আর করবে নাইবা কেন? হোসে মরিনহোর বিদায়ের পর ফের একবার পুরনো রূপে দেখা দিয়েছে ম্যানইউ।
সোলশারের অধীনে সর্বশেষ ১২ ম্যাচের ১০টিতেই জয়ের মুখ দেখেছে ইউনাইটেড। এবার মনে হয় তার চাকরিটা পাকাপোক্ত হয়েই যাবে।
এই জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে ম্যানইউ। তবে এতে ভাগ্যের ছোঁয়াও কিছুটা আছে। কারণ চারে থাকা আর্সেনাল একই রাতে ড্র করে একধাপ নীচে নেমে গেছে। আর পরাজিত দল সাউদাম্পটন ১৭তম স্থানে থেকে রেলিগেশনের মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৯
এমএইচএম/এসআইএস