ওই দুর্বিষহ ফাইনালের পর আর্জেন্টিনার ফুটবলে তেমন আহামরি কোনো উন্নতি হয়নি। বরং ২০১৫ ও ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে হারতে হয়েছে।
তবে আগে যাই হোক না কেন, যে মারাকানায় ২০১৪ সালে দুঃসহ অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেখানেই হয়ত করে ইতিহাস লেখা শুরু করবেন মেসি। আগামী শুক্রবার (২৮ জুন) মারাকানায় কোয়ার্টার ফাইনালে লড়বে আলবিসেলেস্তেরা। সেদিন মারাকানার অধিকাংশ দর্শক হয়ত ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালের মতোই আকাশী-নীল জার্সি পরে আসবেন। অন্যদিকে দর্শকের সংখ্যায় পিছিয়ে থাকলেও গত মার্চে ওয়ান্দা মেত্রোপোলিতানো’তে আর্জেন্টিনাকে ৩-১ গোলে হারানোর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাইবে ভেনেজুয়েলা।
আর্জেন্টিনার মূল সমস্যা এখনও ফুটবলপ্রেমীদের কাছে অজানা। তবে অনেকের মতে, কোচ লিওনেল স্কালোনি দল সামলাতে ব্যর্থ। যদিও চলতি কোপায় স্কালোনির কাজ দেখে মনে হচ্ছে, ক্রমেই সেরা একাদশ বাছাই নিশ্চিতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। দলে এখন ৮জন নিয়মিত খেলোয়াড়- ফ্র্যাঙ্কো আরমানি, নিকোলাস ওতামেন্দি, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, রদ্রিগো দে পল, লিয়েনার্দো পারেদেস, মেসি, লাওতারো মার্তিনেজ এবং সার্জিও আগুয়েরো।
আর্জেন্টিনা একাদশে ৮ জনের জায়গা নিশ্চিত হওয়ায় ৩টি জায়গা নিয়ে বাকিদের লড়তে হচ্ছে। রাইট-ব্যাক পজিশনের জন্য রেঞ্জো অথবা মিল্টন কাসকো, সেন্টার-ব্যাক পজিশনে গেরমেন পেজ্জেলা ও হুয়ান ফয়থের মধ্যে যেকোনো একজন ওতামেন্দিকে সঙ্গ দেবেন। মার্কোস আকুনা অথবা জিওভানি লো সেলসোর মধ্যে একজন মিডফিল্ডে সুযোগ পাবেন।
চলতি কোপার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কাতারকে ২-০ গোলে হারানোর পর মেসিদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে ভেনেজুয়েলা কঠিন প্রতিপক্ষ। এই ম্যাচ জিতে মেসি কি পারবেন ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা ভুলে হাসিমুখে মাঠে ছাড়তে?
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এমএইচএম