সম্প্রতি শেষ হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৪ জাতীয় নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে দেখা দেয় জটিলতা।
নিয়ম অনুযায়ী, বয়স থাকা সত্ত্বেও একজন ফুটবলার বয়সভিত্তিক ফুটবলে দু’বারের বেশি অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলা দলে এমন একাধিক নারী ফুটবলার রয়েছেন যাদের বয়স নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। যার কাজগপত্রসহ কমিটির কাছে প্রেরণ করে ময়মনসিংহ দল। ফলে ঠাকুরগাঁওকে আর ফাইনালে খেলতে দেওয়া হয়নি।
পরবর্তীতে ফাইনালের দিন মাঠে ঢুকে খেলায় বাঁধা দেয় ঠাকুরগাঁও দল। এরপর বাফুফের বিরুদ্ধে ফুটবলারদের একটি কক্ষে আটকে রাখার অভিযোগ করে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঠাকুরগাঁও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
তার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন করে বাফুফে। সেখানে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘তারা (ঠাকুরগাঁও দল) যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ফুটবল ফেডারেশনের এত বড় সাহস নেই যে নারী ফুটবলারদের তালাবন্ধ করে রাখবে। বরং তাদেরকে আমরা সান্ত্বনা দিয়েছি। ’
তবে টুর্নামেন্ট চলার সময় এমন অভিযোগ কেন আসলো কিংবা ফেডারেশন কেন আরও সচেতন হলো না সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বাফুফে সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই বিষয়গুলো নিয়ে ফেডারেশ আরও বেশি সতর্ক থাকবে। জেলা দলগুলোর পাঠানো তথ্যগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে যাতে এধরনের ভুলগুলো আর না হয়। ’
তবে যাই হোক না কেন, দেশের ফুটবলে উন্নয়নে কোনো টুর্নামেন্টে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা মঙ্গলজনক নয় বলেই মত ফুটবল বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
আরএআর/এমএইচএম