দিবালার দলবদল অবশ্য এত সহজে হচ্ছে না। কারণ, তিনি নিজেই নাকি জুভেন্টাস ছাড়তে রাজি নন।
জুভেন্টাসের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা দিবালার তুরিন ছাড়ার অনিচ্ছা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে বিশাল অঙ্কের বেতনের লোভও তাকে সিদ্ধান্ত থেকে টলাতে পারেনি। আর যদি টটেনহামের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি হয়েও যান, বেতন কিন্তু প্রায় সমানই (ম্যানইউ’র প্রস্তাব অনুযায়ী) পাবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই চুক্তি আসলে কতটা সম্ভব?
এদিকে বার্সেলোনা থেকে ধারে টটেনহামে আসার সম্ভাবনা আছে ফিলিপ্পে কৌতিনহোর। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ থেকে কিছুদিন আগে আঁতোয়া গ্রিজম্যানকে কেনার পর থেকেই কৌতিনহো বোঝা হালকা করতে উদগ্রীব কাতালান জায়ান্টরা। দলে মেসি-গ্রিজম্যান থাকায় তার খেলার সুযোগ তেমন একটা থাকবেও না।
তাছাড়া কৌতিনহোকে বেচে নেইমারকে কেনার চেষ্টার কথাও শোনা যায়। তাই বার্সা যে তিনি ছাড়তে চাইবেন তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। শুরুতে পুরোনো ঠিকানা লিভারপুলের কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পরবর্তী ঠিকানা হতে পারে টটেনহাম।
অফ ফর্মে থাকা কৌতিনহোর বিশাল মূল্য পরিশোধ করা টটেনহামের পক্ষে কঠিন, তবে ধারে নিলে আর্থিক চাপটা কম হবে, এটা ভেবেই হয়তো ধারের প্রস্তাব দিচ্ছে টটেনহাম। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দেওয়ার পর থেকেই চিন্তায় পড়ে যান কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো। এরপর থেকেই নিজের সাবেক শিষ্যকে দলে নিতে আগ্রহী হন তিনি।
পচেত্তিনোর অধীনে ২০১২ সালে এস্পানিওলে ধারে খেলতে এসে ১৬ ম্যাচে ৫ গোল করেছিলেন কৌতিনহো। তাছাড়া লিভারপুলের হয়েও দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়ে গেছেন ব্রাজিলীয় তারকা। ইংলিশ কন্ডিশনে তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতেই বার্সায় ‘অবহেলিত’ কৌতিনহোকে নিজের কাছে টানতে চান আর্জেন্টাইন কোচ। রোনালদো আসার পর দিবালাও জুভেন্টাসে অনেকটা অবহেলার শিকার। দুই অবহেলিত তারকাকে নিয়েই পরের মৌসুম শুরুর আশা করছেন টটেনহাম বস।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস