সৌদি আরবের জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে রোববার দিবাগত রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর আগ পর্যন্ত কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে দুই দলই জয় তুলে নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের মতোই স্পট কিকেই নির্ধারিত হলো দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর ভাগ্য। আর মিলানের সেই রাতের মতোই জেদ্দায়ও বিজয়ী হলো রিয়াল মাদ্রিদ।
সেমিফাইনালে ভ্যালেন্সিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে ৫ মিডফিল্ডার খেলিয়ে সফল হয়েছিলেন রিয়াল কোচ জিদান। সাফল্যের সেই ফর্মুলা তিনি এই ম্যাচেও বহাল রেখেছিলেন। সিমিওনেও বার্সেলোনাকে হারিয়ে দেওয়া ম্যাচের একাদশে স্তেফান স্যাভিচের বদলে সেন্টার-ব্যাক পজিশনে হোসে মারিয়া গিমেনেসকে নামানো ছাড়া তেমন কোনো পরিবর্তন আনেননি।
ম্যাচের প্রথম সুযোগটা অবশ্য অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদই পেয়েছিল। কিন্তু রামোসের ভুল পাস ধরে রিয়ালের রক্ষণে হানা দিলেও আসল কাজটা করতে পারেননি হোয়াও ফেলিক্স। শুরুতে সিমিওনের শিষ্যরা এগিয়ে থাকলেও ক্রমেই গুছিয়ে নিতে থাকে রিয়াল। সুযোগও ধরা দেয়। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষদিকে কর্নার কিকে হেড করেও গোলের দেখা পাননি কাসেমিরো।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের কোচই খেলোয়াড় বদলানোর সিদ্ধান্ত নেন। হেক্টর হেরেরাকে তুলে নিয়ে ভিতোলোকে নামান সিমিওনে আর ইসকোর জায়গায় রদ্রিগোকে সুযোগ দেন জিদান। কিন্তু এসবে কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। যদিও ফেদে ভালভার্দ একটা সুযোগ হেলায় নষ্ট না করলে জিদানের মুখে আগেই হাসি ফুটতো।
খেলা ৯০ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পরও যখন গোলের মুখ খুলতে পারলো দুই দলই, অতিরিক্ত সময়েই গড়ালো খেলা। কিন্তু এখানেও ফল একই। তবে লুকা মদ্রিচ আর মারিয়ানো অ্যাতলেটিকো গোলরক্ষক ওবলাককে অল্পের জন্য পরাস্ত করতে পারেননি। এদিকে জিদানের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ভালভার্দে।
শেষদিকে রিয়ালের সত্যিকারের ত্রাতা হিসেবে হাজির হন কুর্তোয়া। মূলত তার নৈপুণ্যেই খেলা শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায়। আর সেখানেও তার বীরত্বেই জয় ছিনিয়ে নেয় রিয়াল। টাইব্রেকারে জিদানের দল সবগুলো স্পট কিকেই সফল। আর বেলজিয়ান গোলরক্ষক কুর্তোয়া অ্যাতলেটিকোর দুটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে নায়ক বনে যান। অবশ্য জয়সূচক স্পট কিকটি আসে রিয়াল অধিনায়ক রামোসের পা থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এমএইচএম