চলনে ও স্টাইলে বার্সেলোনার অন্যান্য খেলোয়াড়দের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম বটে আঁতোয়া গ্রিজম্যান। প্রথম দর্শনেই মনে হবে, সোনালি লম্বা চুলের এক ফরাসি রাজপুত্র যেন মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
কথা কম বললেও বল পায়ে গেলে তিনি যে কত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠতে পারেন, তা জানে প্রতিপক্ষরা। গোল করার মতো নিজের চুলকেও খুব ভালবাসেন গ্রিজম্যান। ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের কাছে তার চুল যে কত প্রিয় তা ফুটে ওঠেছে এক কথাতেই। গ্রিজম্যান জানিয়ে দিয়েছেন, যদি তার ক্লাব বার্সেলোনাও বলে তবুও চুল কাটবেন না তিনি।
ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময়জুড়ে লম্বা চুল নিয়ে খেলছেন গ্রিজম্যান। খোলা সোনালী চুল যেন তার ট্রেডমার্ক। গত বছর অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ছেড়ে বার্সেলোনায় এসে চুলগুলোকে আরও বাড়তে দিয়েছেন। অবশ্য ক্যাম্প ন্যুয়ে নিজেকে এখনও সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। তার জন্য কম সমালোচনাও সইতে হচ্ছে না তাকে।
মাঠে অফ-ফর্মের জন্য বার্সা সমর্থকরা দোষারোপ করছেন ফরাসি তারকার লম্বা চুলকে। তবে তাতেও চুল কাটার পক্ষে নন গ্রিজম্যান। এমনকি স্বয়ং ক্লাবও যদি বলে, তবুও চুল কাটবেন না তিনি। বিশ্বকাপজয়ী তারকা আরও জানিয়েছেন, সমর্থকদের সরাসরি নিন্দাপূর্ণ মন্তব্য শুনতে শুনতে তিনি ক্লান্ত হয়ে গেছেন।
তবে তাতেও চুল না কাটার সিদ্ধান্তে অটল গ্রিজম্যান ইউনিভার্সো ভালদানো’র সর্বশেষ সংস্করণে হোর্হে ভালদানোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তারা (বার্সা) যদি কাটার জন্য বলে, তবুও আমি আমার লম্বা চুল রেখে দেবো। আমার সন্তান এবং স্ত্রী চান, আমি চুল রাখি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বার্সোলোনায় আসার পর থেকে আমি কোনো কথা বলিনি। ঐ সময় আমি জানিয়েছিলাম, আমি শুধু মাঠে কথা বলতে চাই, পাবলিকের সামনে নয়। আমি অনেক মন্তব্য শুনি এবং এখন বলছি, যথেষ্ট হয়েছে। সময় এসেছে সঠিক কথাটা বলার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২০
ইউবি