এই রমজানে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য খাবার পাঠানোর সিদ্ধান্তে প্রশংসিত হয়েছেন মেসুত ওজিল। এবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা এবং সেখানে আটকে পড়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমর্থনেও মুখ খুললেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক জার্মান মিডফিল্ডার।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ামারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। এই সংখ্যা কিছু দিনের মধ্যে পৌঁছে যায় সাত লাখে। আর আগে থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ানমারে অবস্থান করছে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। সেখানে তারা এখনও অনিরাপদ এবং মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের কথা ভেবেই দুশ্চিন্তা ভর করেছে ওজিলের মনে।
টুইটার ও ফেসবুকে বর্তমানে তুর্কি ক্লাব ফেনেবাচে খেলা এই মিডফিল্ডার লিখেছেন, ‘আমাদের মানুষ হিসেবে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো দরকার, বিশেষ করে মিয়ানমারের মতো দেশে। যারা অনিরাপদ তাদের নিরাপত্তার জন্য দোয়া করছি। রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের জন্য দোয়া করছি। মুখ খোলার এখনই সময়। ’
এই রমজানে রোহিঙ্গা, সিরিয়ান, সোমালিয়ান শিশুদের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার ৭৭০ মার্কিন ডলার দান করেছেন ওজিল। ‘দ্য টার্কিশ রেড ক্রিসেন্ট’ বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওজিলের আর্থিক সহায়তায় ২ হাজার ৮০০ তুর্কি পরিবার, ১ হাজার ইন্দোনেশিয়ান পরিবার, বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে থাকা ৭৫০ রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য খাবার পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে সিরিয়ার ইদলিব এবং সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর এতিম শিশুদের জন্য পুরো রমজান মাসে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে তার সহায়তায়।
এর আগে ২০১৯ সালে চীনের সংখ্যালঘু উইগুর মুসলিমদের সমর্থনে টুইট করেছিলেন মেসুত ওজিল। সেখানে জিনজিয়াং প্রদেশের মুসলিমদের সঙ্গে চীনের অমানবিক আচরণের তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি এই ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বের নীরবতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক জার্মান মিডফিল্ডার।
উইগুরদের সমর্থনে মুখ খোলায় চীনের পক্ষ থেকে তার তীব্র সমালচনা সইতে হয় তাকে। এমনকি নিজের ওই সময়কার দল আর্সেনালেও ব্রাত্য হয়ে পড়েন তিনি। প্রায় পুরো এক মৌসুম তাকে মাঠেই নামায়নি লন্ডনের ক্লাবটি। অবশেষে গত জানুয়ারিতে নিজের পূর্ব পুরুষদের দেশ তুরস্কের শীর্ষ ক্লাব ফেনেরবাচে পাড়ি জমান তিনি।
আরও পড়ুন- রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য খাবার পাঠাচ্ছেন ওজিল
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২১
এমএইচএম
We need to stand with each other as a human being, especially in countries like Myanmar. Praying for the ones who are not in safety right now. Praying for our Rohingya brothers and sisters ?? Time to speak up ?️ ?? #SaveRohingya ?? #WhatIsHappeningInMyanmar pic.twitter.com/tDMTYm84ZD
— Mesut Özil (@MesutOzil1088) April 16, 2021