ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

গরিব-দুস্থ চোখের রোগীর পাশে বসুন্ধরা আই হসপিটাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
গরিব-দুস্থ চোখের রোগীর পাশে বসুন্ধরা আই হসপিটাল

ঢাকা: গরিব-দুস্থ ৫২ রোগীর বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করেছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ  ইনিস্টিটিউট। প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাধানের ডা. রুবিনা আক্তার এ অপারেশন করেন।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) এ অপারেশন করা হয়। চাপাইনবাবগঞ্জের নবজাগরণের প্রতিবন্ধী অধিকার সংস্থার সহযোগিতায় অপারেশন সম্পন্ন হয়। এর আগে ১ ডিসেম্বর এ প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ৪৩ রোগীর চোখের ছানি অপারেশন করা হয়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কর্মী ব্যবস্থাপনা) আহসান হাবিব জানান,  গরিব দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দুস্থদের সেবায়  আগে থেকেই এ ধরনের  কার্যক্রম চলমান আছে। সারাদেশে বিনামূল্যে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।  ক্যাম্পের  মাধ্যমে প্রায় এক হাজার ৭৫০ রোগীকে বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়েছে।

সরেজমিনে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনিস্টিটিউটে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসা করা হচ্ছে। বাইরে নারী পুরুষ কয়েকজন রোগী অপেক্ষা করছে। অপারেশন করে একে একে বের করে আনা হচ্ছে। রোগীর সঙ্গে কোনো আত্মীয় নেই হাসপাতালের স্টাফরাই তাদের দেখা-শোনা করছে।

কথা হয় চাপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার নদী ভাঙনে সর্বহারা কেতামনের সঙ্গে। ১৯৯৮ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে রোগে, শোকে ও দরিদ্রতায় এক এক করে দুটি চোখই নষ্ট হয়ে যায় তার। টাকার অভাবে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি চোখে স্পষ্ট দেখেন না। সন্তানরা কোনোমতে সংসার চালায়, মায়ের চিকিৎসা করতে পারেনি। কত বছর, কতদিন আগে চোখে ছানি পড়েছে, শেষ কবে চোখে ভালো দেখেছেন, তা তিনি হিসাব করতে বলতে পারেননি।

আপনার চোখ অপারশেন হবে, আপনি চোখে দেখতে পাবেন। আপনার কেমন লাগছে-এমন প্রশ্নে দুচোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি। বলেন, কতদিন ভালো দেখতে পাই না, জানি না। পয়সা ছিল না, তাই চিকিৎসা করাতে পারিনি। মনে করতাম এটা আমার পরিণতি। বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনা টাকায় চিকিৎসা হবে, দেখতো পাবো-এতে আমার খুবই ভালো লাগছে।

একই অনুভূতি চাপাইনবাবগঞ্জের আব্দুল গফুর ও রোজলি বেগমের। অর্থের অভাবে তারাও সময়মতো চোখের চিকিৎসা করাতে পারেননি। চোখের অপারশেন করে চোখ আগের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে, এ যেন তার পুরো জীবনের অপেক্ষা।

নবজাগরণ প্রতিবন্ধী অধিকার সংস্থার সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকার চোখের সমস্যা তুলনামূলক বেশি। এসব রোগীকে বুসন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যাদের অপারেশন প্রয়োজন তাদের ঢাকায় বসুন্ধরা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে বিনা খরচে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এতে অসহায় এসব মানুষ খুবই খুশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
জেডএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।