ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৫৫ রোগীর ছানি অপারেশন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে নিখরচায় ৫৫ রোগীর ছানি অপারেশন

ঢাকা: বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গরিব-দুস্থ ৫৫ রোগীর নিখরচায় চোখের ছানি এবং নেত্রনালির অপারেশন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং এ কে এম আবু তাহের ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী এ ফ্রি অপারেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে সার্জারিতে অংশ নেন ডা. রুবিনা আক্তার। ২৮ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারীসহ মোট ৫৫ জন রোগীর অপারেশন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫৩ জনের ছানি এবং দুই জনের নেত্রনালি অপারেশন করা হবে। দিন ব্যাপী এ অপারেশন কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়।

প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদ বলেন, আমাদের ইচ্ছা হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিম পাঠাবো, যারা আই ক্যাম্প পরিচালনা করবেন। এ ক্যাম্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা হত-দরিদ্র তাদের নিখরচায় চক্ষু সেবা দেওয়া। এ চক্ষু সেবার যত খরচ আছে, তা আমরা বিভিন্ন ফান্ড থেকে বহন করি। মুসলমান রোগীদের জন্য যাকাত ফান্ড এবং হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য দরিদ্র ফান্ড (পোর ফান্ড) থেকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। আবার মাঝে মধ্যে হাসপাতালের নিজস্ব ফান্ড থেকেও এ খরচ বহন করা হয়। মোট কথা, যাকাত ফান্ড এবং বসুন্ধরা গ্রুপের ডোনেশন ও সার্বিক সহযোগিতায় আমরা এ ক্যাম্পগুলো পরিচালনা করছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন আমাদের কাছে এসে বলেন, তারা নিজ এলাকায় আই ক্যাম্প পরিচালনা করতে চান। তখন আমরা তাদের ডাকে সাড়া দেই। তারপর এ ক্যাম্পের উদ্যোগ যারা নিয়েছেন তারা দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগ থেকে ক্যাম্পের প্রচারণা চালান। এরপর আমরা আই ক্যাম্পের একটি দিন ধার্য করি। আই ক্যাম্পের আগের দিন আমরা সেই সব অঞ্চলে ঢাকা থেকে চিকিৎসকদের একটা দল পাঠাই। চিকিৎসকদের এ দলে ডাক্তার, নার্স এবং প্যারামেডিকেরা যান। এমনকি রোগী দেখার জন্য সব ধরণের যন্ত্রপাতিও থাকে তাদের কাছে।

তিনি আরও বলেন, ক্যাম্প গুলোতে সম্পূর্ণ নিখরচায় দিনব্যাপী রোগী দেখা হয়। বেশির ভাগ অঞ্চলে এ আই ক্যাম্পে ৫০০ থেকে দুই হাজার পর্যন্ত রোগী দেখা হয়। এর মধ্যে যাদের অস্ত্রোপচার দরকার তাদেরকে অপারেশনের জন্য ঢাকায় আনা হয়। অপারেশনের জন্য আনা এসব রোগীর অপারেশন, থাকা-খাওয়াসহ সব কিছু নিখরচায় করা হয়। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের অন্ধত্ব দূর করাই হচ্ছে বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতাল এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার এইচ আর অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, গরিব-দুঃস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুঃস্থদের সেবায় আগ থেকেই এ ধরণের প্রক্রিয়া চলে আসছে। সারাদেশে নিখরচায় এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার ৮০০ এর বেশি রোগীকে নিখরচায় অপারেশন করা হয়েছে।

এর আগে গত মাসের ২০ তারিখে কুমিল্লার বরুড়া থানার পয়ালগাছা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজে এ ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকেই আজ প্রথম ব্যাচের ৫৫ জন রোগীর এ অপারেশন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
ইএসএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।