ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা নিশ্চিত করার তাগিদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা নিশ্চিত করার তাগিদ

ঢাকা: উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে কার্যকরী ও ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘উচ্চ রক্তচাপজনিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ কথা জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা।

ওয়েবিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের সব জনগোষ্ঠীকে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।

কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের সহ-সভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত লোকবল নিশ্চিত এবং তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিয়লজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান বলেন, সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। রোগীদের ওষুধের পাশাপাশি মোটিভেশন দিতে হবে। একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান উদ্যোগগুলো সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে এ সঙ্কট থেকে দ্রুত উত্তরণ সম্ভব।

ওয়েবিনার থেকে আরও জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৩০ ভাগই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা পায় না। এছাড়া প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ভয়াবহ স্বাস্থ্য ব্যয়ের মুখোমুখি হয়। তবে তথ্য-উপাত্ত বলছে এক্ষেত্রে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (পিএইচসি) ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা সবচেয়ে কার্যকরী এবং ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে।

ওয়েবিনারে আরও আলোচনা করেন, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের ও প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক জনাব এবিএম জুবায়ের।

ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞার কোঅরডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
আরকেআর/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।