ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

থ্যালাসেমিয়া, উপসর্গ-করণীয়

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
থ্যালাসেমিয়া, উপসর্গ-করণীয়

থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সারা বিশ্বের মানুষকে সচেতন করতে প্রতি বছর ৮মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন করা হয়। থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তের ভয়ানক রোগ।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রধানত জিনগত সমস্যা থেকেই এই রোগ হয়। বংশানুক্রমিকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই রোগ হলে শরীরে স্বাভাবিকভাবে রক্ত তৈরি হয় না। হিমোগ্লোবিনে ত্রুটি থেকে যায়। লোহিত রক্ত কণিকার আয়তন ছোট হয়। তাই রোগাক্রান্তকে অন্য রক্তদাতার রক্ত গ্রহণ করতে হয়।  থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ১৫ থেকে ৩০দিন অন্তর রক্ত পরিবর্তন করতে হয়।

সাধারণত শিশু জন্মের ১-২ বছরের মধ্যে থ্যালাসিমিয়া রোগ ধরা পড়ে। এর লক্ষণগুলো হলো- ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ঘন ঘন ইনফেকশন, শিশুর ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া, জন্ডিস, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি।  

উপসর্গগুলো দেখা দিলে এইচপিএলসি বা ‘হাই পাওয়ার লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি’পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের করা যায়।  
থ্যালাসেমিয়ায় থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসা। এছাড়াও যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ- 

•    বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া যে থ্যালাসেমিয়ার বাহক কি না
•    খেয়াল রাখতে হবে দু’জন থ্যালাসেমিয়ার বাহক যেন বিয়ে না করেন
•    বিয়ের পরে যদি দেখা যায় স্বামী অথবা স্ত্রীর মধ্যে এক জন এই রোগের বাহক তা হলে অবশ্যই অন্য জন রক্তপরীক্ষা করাতে হবে 
•    যদি দেখা যায়, স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই থ্যালাসেমিয়ার বাহক তা হলে গর্ভাবস্থায় ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ভ্রূণের পরীক্ষা করান।  

তবে মনে রাখতে হবে, রোগটি কিন্তু ছোঁয়াচে বা সংক্রামকও নয়। এক জন থ্যালাসেমিয়া রোগীর দেহের রক্ত যদি অন্যের শরীরে দেওয়া হয় তা হলেও ওই ব্যক্তির থ্যালাসেমিয়া হবে না। থ্যালাসেমিয়া রোগীর সঙ্গে যৌন সংসর্গেও এই রোগ ছড়ায় না।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।