একটি তেলবাহী জাহাজকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করে নতুন আঙ্গিকে চালু হলো ‘লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’। ৩০ জুন শনিবার নারায়ণগঞ্জে নতুন অবয়বে লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের উদ্বোধন করা হলো।
বাংলাদেশের চরাঞ্চলের দুর্গম এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রায় এক যুগ আগে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ফ্রেন্ডশিপ’ ও ‘ইউনিলিভার’-এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রজেক্টটি চালু হয়েছিল। ভাসমান জাহাজের এই হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে নতুন করে আবার যাত্রা শুরু করলো।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পাগলায় মেরি অ্যান্ডারসনে নতুন আঙ্গিকে পরিবর্ধিত ‘লাইফবয় ফেন্ডশিপ হাসপাতাল’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এ কে খন্দকার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ‘ফেন্ডশিপ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খান, ‘ফ্রেন্ডশিপ লুক্সেমবার্গের মার্ক এলভিনজার এবং ইউনিভারের প্রতিনিধি। পরিকল্পনা মন্ত্রী এই হাসপাতালের উদ্যোক্তাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা আরো বর্ধিত করার আহ্বান জানান এবং সবধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের বুড়িগঙ্গার বুকে ভাসমান জাহাজে ‘লাইফবয় ফেন্ডশিপ হাসপাতাল’ নিয়ে যান স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা। এ সময় কেরানীগঞ্জের নদী তীরবর্তী দুঃস্থ মানুষদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিয়োজিত ছিল হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আধুনিকায়নের পর ভাসমান এ হাসপাতাল দেশের বিভিন্ন চরাঞ্চলের দুর্গত এলাকায় গিয়ে দরিদ্র মানুষদের বিনে পয়সায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে বছর জুড়ে এখন থেকে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা করবে। এতে সার্বক্ষণিকভাবে থাকছেন মেডিক্যাল সার্জন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ন ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সীমিত পরিসরে এ হাসপাতালে রয়েছে অপারেশন থিয়েটার, ৬ শয্যা বিশিষ্ট্য কেবিন ও আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতিসহ সবধরনের সুযোগ সুবিধা।
লাইফবয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছিল ২০০০ সালে একটি তেলবাহী জাহাজকে রূপান্তরের মাধ্যমে। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে এই ভাসমান হাসপাতালটির কার্যক্রম চালু হয়। মাঝে প্রায় বছরখানেক জাহাজের সংস্কার, পরিবর্ধন ও আধুনিকায়নের জন্য ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালটি বন্ধ ছিল। অসহায় মানুষকে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অঙ্গিকার নিয়ে এই ভাসমান হাসপাতালটি বর্ধিত আকারে আবার চালু করা হলো।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫০, জুন ৩০, ২০১২