ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বাড়িতে থেকেও যক্ষ্মার চিকিৎসা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১২

ঢাকা: বাড়িতে অবস্থান করে ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএসএআইডি এর সহায়তায় টিবি কেয়ার-২ প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।



স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক মঙ্গলবার ঢাকায় হোটেল রূপসী বাংলায় কমিউনিটি ভিত্তিক ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

নতুন এই কর্মসূচির ফলে যক্ষ্মা রোগীকে মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকতে হবে না। প্রাথমিকভাবে ২ মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে বাকী চিকিৎসা সম্পন্ন করা যাবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নব্বই দশকের তুলনায় এখন দেশে সকল ধরণের যক্ষ্মা সংক্রমণের হার অনেক কমেছে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা সংক্রম ও মৃত্যুর হার অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এখন প্রয়োজন নতুন ও সৃজনশীল উদ্যোগের। ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার কমিউনিটি ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যক্রম বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে। বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমাতে এই কার্যক্রম সহায়তা করবে।


যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ে জেনেক্সপার্ট মেশিন স্থাপনের উদ্যোগে ব্যপারে মন্ত্রী বলেন, ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা যত দ্রুত চিহ্নিত করা যায় তত দ্রুত এর চিকিৎসা সম্ভব।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ বাড়িতে বসে চিকিৎসা পাবে বলে এই কার্যক্রম জনপ্রিয়তা পাবে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলো নতুন রোগী ভর্তির সুযোগ করে দিতে পারবে দ্রুত।


নতুন এই কর্মসূচির আওতায় স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিতভাবে রোগীর বাড়িতে গিয়ে ঔষধ সেবন এবং চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করবেন। ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা নির্ণয়ে আপাতত দেশের ১২টি স্থানে জেনেক্সপার্ট মেশিন স্থাপন করা হবে। এই মেশিনের মাধ্যমে মাত্র দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় রোগ নির্ণয় সম্ভব।


বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীদের জন্য মাত্র ৪০০ শয্যা রয়েছে। প্রচলিত মেশিনে রোগ নির্ণয়ে দুই থেকে তিন মাস সময় ব্যয় হয়।


স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশে ইউএসএইড মিশন-এর পরিচালক রিচার্ড গ্রিন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি তুষারা ফার্নান্দো বক্তৃতা করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে প্রতিবছর ১ লাখে ৪১১ জন যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত হয় এবং ১ লাখে গড়ে ৪৩ জন মৃত্যুবরণ করে থঅকে।

বাংলাদেশ সময় ১৮৪১ ঘণ্টা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১২
এমএন/সম্পাদনা: আহ্‌সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।